
খেলাধুলা: আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামীকাল পাকিস্তানের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ দুই যুগ। আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে অর্ধডজন ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ফের মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান। সেই হারের বৃত্ত থেকে কি বের হতে পারবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা?
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেষ লড়াইয়ে টাইগারদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে হেরে যে দলটাও বিদায়ের পথে সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। তাই, দুই দলের জন্যই ম্যাচটা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। যদিও পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে জয় নিয়েই বিদায় নেয়ার লক্ষ্য থাকবে দুই দলের।
ওয়ানডেতে দুই দলের সবশেষ দেখা ২০২৩ বিশ্বকাপে। যেখানে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ দলটা। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভরাডুবি হয়েছিলো টাইগারদের। লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এই দুই বিশ্বকাপের মাঝে দুই দলের দেখা হয়েছে মাত্র একবার। সেটিও ২০২৩ এশিয়া কাপে; যেখানে লাহোরে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় পাকিস্তান।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৯ বার। যেখানে পাকিস্তানের ৩৪ জয়ের বিপরীতে মাত্র ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মৃতিমধুর জয়টা ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। যেখানে চমক দেখিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চে অংশ নিয়ে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা। পরের জয়টা ২০১৮ এশিয়া কাপে। যেখানে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে সেবার ফাইনালে খেলেছিলো লাল-সবুজ দলটা। এছাড়া ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মিরপুরে পাকিস্তানকে ৩-০ তে ধবলধোলাই করেছিলো টাইগাররা।
দুই দলের সাম্প্রতিক অবস্থা বেশ শোচনীয়। সবশেষ খেলা ৫ ওয়ানডের মাত্র একটিতে জয় আছে পাকিস্তানের। বিপরীতে শেষ ৫ ওয়ানডেতে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যানের খাতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও দুই দলের শক্তিমত্তায় প্রায় সমানে-সমান। যদিও হোম কন্ডিশনে ফেবারিট হিসেবে টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এখন প্রশ্ন ব্যর্থতার পাতাটা আড়াল করে, জয়ের গল্প লিখে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারবে কি বাংলাদেশ?
Array