
বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ মেনে কোনো প্রতিযোগিতায় হেরে গেলেই মন খারাপ না করে পরবর্তী সময়ে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খেলায় হারজিত থাকবে। আজ হারলে কাল জিতব। জাতির পিতা সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, সবসময় হার না মানার মানসিকতা ছিল তার। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশীপে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। এই টুর্নামেন্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ আয়োজক সংস্থা সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আর্থসামাজিক ও দারিদ্র মুক্তির জন্য কাজ করেছে, পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। প্রায় একটানা ১০ বছর সরকারের ক্ষমতায় আছি। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ যুব সমাজ ও শিশু সম্পৃক্ত হবে এটাই ছিল প্রত্যাশা।’
ছোট থেকে বড়দের সবাইকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের কথা জানালেন শেখ হাসিনা, ‘আমরা প্রাথমিক বিদালয় থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। বঙ্গমাতা প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়েছে। গত ১০ বছরে এখান থেকে দক্ষ ফুটবলার গড়ে উঠেছে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমরা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।’
খেলাধুলার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার দাদা ফুটবল খেলতেন। বাবাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী দুজনেই স্পোর্টসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ শেখ কামাল নিয়েছিল।’
খেলাধুলার মাধ্যমে এই জাতির মেধাবিকাশ হবে বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর, ‘খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এজন্য উদ্যোগটা নিয়েছি। আজকে সকলে মিলে এক হয়েছেন এবং খেলার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ফুটবলসহ ১০টি ইভেন্ট। খেলাধুলার এই প্রতিযোগিতা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি আমরা। এরপর শুরু করব আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। এখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রতিযোগিতার যোগ্যতা অর্জন করবো। একসময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করব।’
Array