
আপনাদের মা বাবা ভাই বোন কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য!
ঢেঁড়শ (অন্য নাম ভেন্ডি) মালভেসি পরিবারের এক প্রকারের সপুষ্পক উদ্ভিদ (tree)। এটি তুলা, কোকো ও হিবিস্কাসের সাথে সম্পর্কিত। ঢেঁড়শ গাছের কাঁচা ফলকে সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus; অথবা Hibiscus esculentus L।ঢেঁড়শ গাছ একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা (long) হয়।
এর পাতা ১০-২০ সেমি দীর্ঘ এবং চওড়া। পাতায় ৫-৭টি অংশ থাকে। ফুল হয় ৪-৮ সেমি চওড়া, পাঁপড়ির রঙ সাদাটে হলুদ, ৫টি পাঁপড়ি থাকে। প্রতিটি পাঁপড়ির কেন্দ্রে লাল বা গোলাপী বিন্দু থাকে। ঢেঁড়শ ফল ক্যাপসুল আকারের, প্রায় ১৮ সেমি দীর্ঘ, এবং এর ভেতরে অসংখ্য বিচি থাকে।
ঢেড়শকে ইংরেজিতে বলা হয় ওকরা (Okra)। আমেরিকার বাইরের ইংরেজিভাষী স্থানে এটি লেডিজ ফিঙ্গার (Lady’s Fingers) নামেও পরিচিত ,। কোনো কোনো স্থানে, যেমন আমেরিকার কিছু অংশ এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এটি গাম্বো (gumbo) নামেও খ্যাত, যা এসেছে এর পর্তুগিজ নাম “quingombo,” থেকে, যার আদি উৎস হলো পূর্ব আফ্রিকীয় শব্দ “quillobo,”
ওকরা নামটি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসেছে।[৩] আফ্রিকার বান্টু ভাষায় এটাকে বলা হয় কিঙ্গুম্বো। আরবি ভাষায় এর নাম বামিয়া । দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটিকে ভেন্ডি বা ভিন্ডি বলা হয়।Okra flower bud and immature seed pod
ঢেঁড়শের আদি নিবাস ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি এলাকায়। সেখান থেকে কীভাবে এটি অন্যত্র ছড়িয়ে যায়, তা জানা যায় না। মিশরীয় ও মূর জাতির বিভিন্ন রচনায় ১২শ ও ১৩শ শতকে আরবি ভাষায় ঢেঁড়শের কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে ধারণা করা যায় যে, প্রাচ্য হতেই এটি সেখানে এসেছে।
সম্ভবত ইথিওপিয়া হতে লোহিত সাগর বা আরব উপদ্বীপের নিকটবর্তী বাব-আল-মান্দিব প্রণালী পেরিয়ে এটি আরবে ও পরে ইউরোপে যায়। ১২১৬ সালে এক স্পেনীয় মূর জাতির ব্যক্তির লেখায় এর উল্লেখ রয়েছে। মিশর ভ্রমণকালে এই মূর তার রচনায় উল্লেখ করেন, স্থানীয় ব্যক্তিরা ঢেঁড়শের ফল আটার সাথে মিশিয়ে খেতো
আপনাদের মা, বাবা, ভাই,বোন, কারো ডায়াবেটিস যদি থাকে তাদের জন্য এই পরামর্শ। ৩/৪ দিন খালি পেটে খাবেন তিনটি ঢেঁড়স মাথা কেটে রাতে ১গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন সকালে খালি পেটে পানি টুকু খাবেন। তারপর ডায়াবেটিস মেপে দেখবেন।
আরো পড়ুন…
আপনার শিশুর পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে কোন কোন খাবার হয়ে উঠতে পারে ডিমের বিকল্প? জানুন বিস্তারিত
সস্তায় পুষ্টিকর ও প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস হলেও ডিম নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে অনেক অভিভাবকেরই। সাধারণত শিশুরা ডিম বা ডিম দিয়ে বানানো খাবার পছন্দই করে। অনেক সময়ই দেখা যায়, যে শিশুর মাছ-মাংসে অত সায় নেই, তারও কিন্তু ডিমের প্রতি একটা অদম্য টান থাকে। কিন্তু কেবল মনই নয়, পেটেও তো সইতে হবে!
অনেকেই চিন্তায় পড়েন এই ভাবনায় এসেই। ডিমই যদি বারণ হয়ে যায়, তা হলে তো সন্তানের পুষ্টির সঙ্গে অনেকটাই আপস করতে হচ্ছে! অনেক মা-বাবাই সে ক্ষেত্রে সিরিয়াল কোনও সাপ্লিমেন্ট বা প্রোটিন শেকগুলির শরণ নিয়ে থাকেন। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট বা বাজারচলতি প্রোটিন শেক খুব একটা কাজের নয় বলেই মত পুষ্টিবিদদের। বরং তাঁদের মতে, ডিমের ঘাটতি মেটাতে হবে সারা দিনের অন্য খাবার দিয়েই।
কোন কোন খাবার হয়ে উঠতে পারে ডিমের বিকল্প?
টক দই: প্রতি দিন শিশুর ডায়েটে রাখুন এটি। লিভারে যেমন প্রোবায়োটিক উপাদানের জোগান বাড়বে, তেমনই ডিম থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের অনেকটা পূরণ করতে পারে এই খাবার। দই-ভাত, সালাডে দই বা ওটসের সঙ্গে দই— শিশুর রোজের ডায়েটে রাখুন। দিনে অনেকটা টক দই ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সয়াবিন: ডিম বন্ধ হলে সয়াবিনকে নিয়ে আসুন খাবারের পাতে। প্রতি দিন ডিম থেকে যে পরিমাণ প্রোটিন মিলত, সয়াবিনের হাত ধরে এ বার সেটুকু যাবে সন্তানের পুষ্টিতে। উদ্ভীজ্জ প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস এই সয়াবিন। তবে সয়াবিন থেকে তৈরি হওয়া ফ্লেক্স বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে সয়াবিনের তরকারি বা সালাড বানিয়ে দিন শিশুকে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে কৃত্রিম নানা উপাদান মেশানো থাকে। থাকে অতিরিক্ত চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট। তাই ও সব এড়িয়ে তরকারি, সয়াবিনের দুধ, বা সালাডে সয়াবিন যোগ করে দিন শিশুকে।
পনির: ডিম নেই এমন যে কোনও বেকড খাবারে ছানা বা পনিরকেই ডিমের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ছানাকে ভাল ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। অনেকটা ক্রিমের মতো থকথকে হয়ে উঠলে তা দিয়ে বানিয়ে দিন শিশুর মনের মতো ছানার তরকারি। পনিরের টুকরো বা ছানা ভাজা মিশিয়ে দিন রোজের সালাডে। ছানা ব্লেন্ড করে রুটির মধ্যে পুর আকারে ভরে টিফিনেও দিতে পারেন। পনির-পরোটা এড়ান শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই। তবে মাঝেসাঝে মুখ বদলাতে হালকা তেলে পনির-পরোটা বানিয়ে দিতে পারেন।
কলা: বেশির ভাগ শিশুই ফল খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। কিন্তু ছোট থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করুন। একবারে অনেকটা খেতে না চাইলেও নানা ভাবে বারে বারে ফলকে রাখুন ডায়েটে। একটু টক দই ও গোলমরিচ ছড়িয়ে বানিয়ে দিন ফ্রুট সালাড। ডিম খাওয়া বারণ হলে এই সালাডের প্রধান উপকরণ করুন কলাকে। এই ফলে পটাশিয়ামের প্রাচুর্য থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রক্ষা করে শিশুকে।
Array