• ঢাকা, বাংলাদেশ

আবারও ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাড়তি সুবিধা 

 admin 
24th Mar 2021 11:52 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

করোনাভাইরাসের হঠাৎ উর্ধগতি মোকাবিলায় চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২০ সালের চলতি ঋণের বকেয়া সুদ আগামী ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৬ কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

পাশাপাশি গত বছরের তলবি ঋণের কিস্তি আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যেসব গ্রাহক এ নিয়মে সুদ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে না তাদের শ্রেণিকরণ বা খেলাপি করা হবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল তাই থাকবে, বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে, কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। মেয়াদী ঋণগুলোর কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বহির্বিশ্বেও করোনার নেতিবাচক প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই নতুনভাবে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং একইসঙ্গে ব্যাংকিং খাতে ঋণ প্রবাহের গতিধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে চলমান ও তলবি ঋণ/বিনিয়োগ পরিশোধের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, যে সকল চলমান ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় ব্যাংক কর্তৃক নবায়ন করা হয়নি সেসব ঋণের ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরোপিত সুদ (অনাদায়ী থাকলে) আছে তা ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। ২০২০ সালের অনাদায়ী সুদ উল্লিখিত নিয়মে পরিশোধিত হওয়ার পাশাপাশি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হবে। যেসব গ্রাহক এসব নিয়মে সুদ পরিশোধ করবে তাদের ঋণ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

এতে আরও বলা হয়, তলবি প্রকৃতির ঋণ/বিনিয়োগসমূহ ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি পরিশোধিত হলে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ বা খেলাপি করা যাবে না।

তবে সুবিধা নিয়ে কোনো ত্রৈমাসিকে প্রদেয় কিস্তি পরিশোধিত না হলে ওই ত্রৈমাসিক থেকে এ সুবিধা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে এবং যথানিয়মে ঋণ শ্রেণিকরণ করতে হবে। তবে উল্লিখিত চলমান ও তলবি ঋণ/বিনিয়োগসহ বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩/২০২১ এর আওতায় মেয়াদী ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করলে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

এছাড়া বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১