
❝ আহ ! প্রিয়দর্শিনী সুলতানা কামাল..❞
আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের এক রূপময় চরিত্র প্রিয়দর্শিনী অ্যাথলেট সুলতানা আহমেদ খুকী, পরে সুলতানা কামাল। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল দীপ্তিময় মুখাবয়ব এখনও এ দেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্যে অন্যরকম এক অনুপ্রেরণার আঁধার।
ষাটের দশকের গোড়ার দিকে যখন এ দেশের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের ঘরের বাইরে বেরোনোই কঠিন ছিল সে সময়টায় সুলতানা কামালের অ্যাথলেটিকসে যাত্রা শুরু। অসাধারণ গুনবতী খুকী শুধু খেলাধূলায় নয় ছিলেন মেধাবী ছাত্রী ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা ধারার এক অনন্যা নারী।
গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমানে বদরুন্নেসা) পড়ার সময় ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। ছিলেন ছাত্রলীগের প্রার্থী।
১৯৬৯ সালে কৃতিত্বের সাথে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর অনার্স পাশ করে ভর্তি হন এম এ ক্লাসে। এমএতে লিখিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ১৫ আগস্ট ভোরে ঘাতকদের বুলেটে নিহত হন প্রিয়দর্শিনী অ্যাথলেট সুলতানা কামাল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অ্যাথলেটিক ট্র্যাক দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। ১৫ আগস্ট সব কিছুই তুচ্ছ হয়ে উঠেছিল ঘাতক চক্রের কাছে। আর তাইতো বঙ্গবন্ধু পরিবারে নববধূ হয়ে আসা এই অ্যাথলেটকেও সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। খুব সম্ভবত বিশ্বে আর কোনো নারী অ্যাথলেটের এভাবে বুলেটবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার নজির নেই।
দুটি ছবিতে হাস্যোজ্জ্বল প্রিয়দর্শিনী সুলতানা কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭৩-৭৪ সালের। প্রথম ছবিটি ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা সুলতানা কামালকে বধূ রূপে সাজিয়ে দিচ্ছেন আর পাশেই শেখ রাসেল।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সকলের স্মৃতির প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
Array