ঢাকা- বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯ :
বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি বলেছেন, আমার মত অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত নেতা আর কেউ নেই। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিলোনা। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলেছি, তাই শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি। জাতীয় পার্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়েনা, সে দলকে কেউই ধংস করতে পারবেনা। নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো, যাতে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারে। আজ বুধবার দুপুরে গুলশান-০১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে ৯০তম জন্মদিনের কেক কেটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ কথা বলেন।

এর আগে আনন্দঘন পরিবেশে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ্য হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ ভাঙতে পারবেনা। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে। নেতা-কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) পল্লীবন্ধুর কখনোই ভুল চিকিৎসা হয়নি। তিনি বলেন, সিএমএইচে কখনোই ভুল চিকিৎসা হতে পারেনা।
অনুষ্ঠানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেন, আজ শপথ নেবার দিন। আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। জিএম কাদের পার্টি চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কখনোই ভুল চিকিৎসা হয়নি।

সকাল থেকেই পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী শ্লোগানে-শ্লোগানে উৎসবমূখর করে তোলে গুলশান-০১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তন। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল ও কেক নিয়ে হাজির হন আনন্দঘন পরিবেশে।

বেলা ১২টার দিকে পল্লীবন্ধু হসেইেন মুহম্মদ এরশাদ মিলনায়তনে পৌছলে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাঁর সাথে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন ছোট ভাই পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি। এর আগেই পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশান এরশাদ এমপি সভা স্থলে পৌছেন। ১২টার কিছু পরে ৯০ পাউন্ডের কেক কেটে নিজের জন্মদিনের উৎসবের সূচনা করেন বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান. এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মোঃ আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর অব. মোঃ খালেদ আখতার, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা- ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আখতার এমপি, এ্যাড. আজাহার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান- অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোঃ আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান, এমরান হোসেন মিয়া, আবু বক্কর, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নুরুল ইসলাম ওমর, আশরাফ সিদ্দিকী, শেখ আলমগীর হোসেন, ইয়াহইয়া চৌধুরী, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামসুল হক, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মোঃ জসীম উদ্দিন, মুনিম চৌধূরী বাবু, মোঃ হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, মোঃ নাসির উদ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- সুলতান মাহমুদ, মোঃ বেলাল হোসেন, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, আনিসুর রহমান খোকন, এ্যাড. লাকী বেগম, এম.এ. রাজ্জাক খান, শারমিন পারভিন লিজা, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন খান, লিয়াকত চাকলাদার, এটিইউ আহাদ চৌধুরী, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, মোস্তফা কামাল, ক্বারী হাফেজ ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা- মাহমুদ আলম, মোঃ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, বাহাদুর ইমতিয়াজ, মোঃ নাজমুল খান, হাসান মঞ্জুর, মিজানুর রহমান দুলাল, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহমান, তাসলিম আক্তার রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, মোতাহার হোসেন মানিক, ফারুক আহমেদ, দ্বীন ইসলাম শেখ, মোঃ সোলায়মান সামি, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আবুল কাশেম, মোস্তফা আল মাহামুদ প্রমুখ।