
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের হাতে তার খাবার খেতে পারছেন। পাশাপাশি তার অবস্থাও স্থিতিশীল। তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ এ কথা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এখনো অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তবে তার সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ও বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি অনলাইন মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থার অবনতি হয়নি। তিনি আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছেন। আলহামদুলিল্লাহ তিনি নিজেই নিজের খাবার খাচ্ছেন।’
তিনি আরো জানান, ডা. জাফরুল্লাহকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস ও বুকের ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন ডা. জাফরুল্লাহর ডায়ালাইসিস করতে গেলে শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্পন্ন করা যায়নি। ফলে ওইদিন তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়।
পরে গত ৫ জুন ডা. জাফরুল্লাহকে সারাদিনই অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। সেইসঙ্গে ওই দিন রাতে তৃতীয়বারের মতো তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। পাশাপাশি কিডনির ডায়ালাইসিসও সফল হয়। এ অবস্থায় গত শনিবার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। ওইদিনও তার ডায়ালাইসিস হয়েছে।
গত ২৫ মে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। পরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পিসিআর টেস্ট করালেও একই রেজাল্ট আসে। গত ২৬ মে তিনি প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেন।
ডা. জাফরুল্লাহর করোনা শনাক্তের পর টেস্ট করানো হলে তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনা ধরা পড়ে।
নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
Array