
নিউইয়র্কে সদ্যসমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বেশকিছু ক‚টনৈতিক তৎপরতায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান তার ওপর ‘অসন্তুষ্ট’ হন। এ কারণে নিউইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদে ফেরার পথে সালমান তার ব্যক্তিগত জেট থেকে ইমরান খানসহ পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলকে নামিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। খবর ‘ফ্রাইডে টাইমস’।
খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার আগে সৌদি আরব সফরে ছিলেন ইমরান খান। পরবর্তী-সময়ে সেখান থেকে জাতিসংঘের অধিবেশনে যাত্রাকালে ইমরান খানকে সাধারণ বাণিজ্যিক বিমানের পরিবর্তে নিজের ব্যক্তিগত জেটে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সালমান।
তখন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, সৌজন্যের নিদর্শন হিসেবে সৌদি যুবরাজ তার অতিথিকে বাণিজ্যিক বিমানের বদলে ব্যক্তিগত জেট ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে ওই জেটে করেই নিউইয়র্ক যান ইমরান। ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে ওই একই জেটে করে নিউইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা করেন ইমরান খানসহ পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। কিন্তু ফিরতি পথে জেটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় আবারো নিউইয়র্কে ফিরে একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে দেশে ফেরেন তারা।
যদিও গত শুক্রবার এক খবরে এর সম্পূর্ণ বিপরীত তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, নিউইয়র্কে পাক প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু ক‚টনৈতিক তৎপরতায় উপেক্ষিত বোধ করেন মুহম্মদ বিন সালমান। জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ইসলামি বিশ্বকে যৌথভাবে উপস্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা করেন ইমরান খান। সে সময় বিশ্বব্যাপী ইসলামভীতি মোকাবেলায় ইংরেজি ভাষায় একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালুর ব্যাপারেও কথা বলেন তারা। কিন্তু এ বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেননি এমবিএস।
এ ছাড়া নিউইয়র্কে অবস্থানকালেই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের অনুরোধে উপসাগরীয় উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতার কাজ করছেন তিনি। স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া ইরানের ব্যাপারে পাকিস্তানের এ আগ্রহেও নাখোশ হন সৌদি যুবরাজ। এসবের সূত্র ধরেই ফিরতি পথে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলকে ব্যক্তিগত জেট থেকে নামিয়ে দিয়ে সৌদি যুবরাজ দৃশ্যত ইমরান খানকে তিরস্কার করলেন বলে ফ্রাইডে টাইমসের দাবি।
এদিকে ম্যাগাজিনটির এমন দাবিকে ‘কল্পিত কাহিনি’ বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। এরদোগান ও মাহাথিরের সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠক সম্পূর্ণ কাল্পনিক। রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Array