
✓একটি বাস্তব ঘটনা✓
#Sarker_Hasibul_Islam_Masud
ছবিটি ভারতের মুম্বাইয়ের এক উচ্চবিত্ত পরিবারের কোটিপতি মহিলার মৃতদেহের। কোটিপতি পুত্রের মাতা মারা যাবার ঠিক ১০ মাস পর সবাই জানতে পেরেছিলেন। ১৭ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট থেকে মহিলার কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছিল।
আমেরিকার সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর উঁচু মানের একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন “ঋতুরাজ সাহানী”। তিনি জানেন না তাঁর মা আশা সাহানী ঠিক কবে মারা গেছেন।
তবে ঋতুরাজের কথা অনুযায়ী মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে প্রায় ১ বছর ৩ মাস
আগে।
২৩ এপ্রিল,২০১৬ সালে আশা সাহানী নিজের বৃদ্ধাকালের একমাত্র সহায় প্রাণপ্রিয় পুত্রকে অনুরোধ করেছিলেন, হয় আমেরিকায় নিয়ে যেতে নতুবা কোনো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে।
ব্যাস্ত ইঞ্জিনিয়ার পুত্র সময় করে উঠতে পারেনি। হঠাৎ একদিন তিনি আমেরিকা থেকে রওয়ানা দিয়ে মুম্বাই চলে আসেন। সকালে ঋতুরাজ মুম্বাই এয়ারপোর্ট থেকে সোজা চলে গেলেন প্রিয় মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। বহু ডাকাডাকির পরে সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। মুম্বাই পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দৃশ্যটি দেখে তো রীতিমত হতবাক!!
৬৩ বছর বয়সী আশা দেবী মুম্বাইয়ের ধনী এলাকা আন্ধেরীর এক বহুতল কমপ্লেক্সের দশম তলায় থাকতেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরে কেউ ব্যাপারটা বুঝতেই পারেননি; তিনি মারা গেছেন।
আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পশ্চিমা সভ্যতা কিভাবে দ্রুত গ্রাস করে চলেছে আমাদের সমাজকে।
আশা সাহানী’র এই মৃত্যু আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে সামাজিক বিবেক-বিবেচনা, বোধ-বুদ্ধি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।
আমরা সন্তানদের কেরিয়ার গঠন করতে গিয়ে তাদের রোবটে পরিণত করে ফেলেছি। এখনই ভাবতে হবে রোবট নয় আমাদের সন্তানদের আগে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
নচেৎ, আপনার আমার অবস্থা আশা সাহানী’র মতো হবে না গ্যারান্টি কি ?? বেচারা আশা সাহানী’র সব ছিল অথচ, কিন্তু কাছে কোন আপনজন ছিল না।
#সংগৃহীত
Array