• ঢাকা, বাংলাদেশ

এবার ‘বিকাশ পেমেন্ট’ প্রতারণায় দারাজ 

 admin 
23rd Sep 2020 3:02 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজ। গ্রাহকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতারণা করে পার পেয়ে এবার ‘বিকাশ পেমেন্ট’ নামে অর্থ আত্মসাৎ করা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পণ্যের জন্য বিকাশে টাকা নিয়ে অর্ডার বাতিল করে তারা মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পণ্যের মান নিয়ে এন্তার অভিযোগ দারাজের বিরুদ্ধে। বিশেষ ছাড় দেয়ার নামে তারা নিম্নমানের পণ্য গছিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকদের। সরকারের নীতিমালা না থাকায় তারা এমন প্রতারণার সুযোগ বারবার নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, ২০১৫ সালে ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে বাংলাদেশে দারাজের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক দারাজ গ্রুপকে চীনা বহুজাতিক কোম্পানি ও ই-বাণিজ্য জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ কিনে নেয়। আলিবাবা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন দারাজ ডটকম বিডি বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।

বিদেশি কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হওয়ার সুযোগে প্রতারণার পসরা সাজিয়ে বসেছে দারাজ। এখান থেকে পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজ থেকে ‘রয়েল চিফ সয়াবিন ওয়েল’ ৫ লিটার কিনতে অনলাইনে অর্ডার করেন নাজমুল হাসান আশিক।

তিনি তার বিকাশ থেকে ৪৮৬ টাকা অগ্রিম দিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর পরপরই অর্ডার ক্যান্সেল বা বাতিল করে দেয় দারাজ। তবে পুরো টাকা ফেরত না দিয়ে দারাজের পক্ষ থেকে আশিককে দেয়া হয় ৪১৪ টাকা। ৭২ টাকাই মেরে দেয় দারাজ। তার অর্ডার নম্বর হলো-৬০৯০৭৯৬৪৮৮….।

‘দারাজ ফান ক্লাব’ নামে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপে প্রতারণার শিকার হওয়া অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করে থাকেন। আল আমিন মুন্না নামে এক ক্রেতা গত সোমবার সেই গ্রুপে লেখেন, ‘আমি আগস্টের ৩১ তারিখে একটা রিয়েলমি-ফাইভ আইফোন বিকাশ পেমেন্টে অর্ডার করি।

সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে আমার অর্ডারটা শিফড হয়! আমার অর্ডার ডিটেইলস অনুযায়ী প্রোডাক্টটা ৫ থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেলিভারি পাওয়ার কথা, কিন্তু আমি এখনো কোন কল অথবা মেসেজ পাইনি! আরো কয়েকদিন আগে লাইভ চ্যাটে দারাজ কাস্টমার কেয়ারের এজেন্টের সঙ্গে কথা হয়, সে বলছে শুক্র-শনিবার সরকারি বন্ধ থাকার কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন।’

তিনি আরো বলেন, “আবার গত বৃহস্পতিবার লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে পুনরায় অভিযোগ করি, আবার শনিবারে অভিযোগ করি। তখনো আপনারা বলছেন ‘একটু অপেক্ষা করুন পেয়ে যাবেন’। কিন্তু আজকে (সোমবার) ২২ দিন পার হচ্ছে, এখনো প্রোডাক্টটা পাওয়ার কোনো নামগন্ধ নেই। আমি আদৌ প্রোডাক্টটা কি পাব? প্লিজ আপনারা একটা ব্যবস্থা নিন।

আমার দারাজ থেকে মোবাইল কেনার শখ মিটে গেছে, আপনারা হয় আর একদিনের মধ্যে প্রোডাক্টটা ডেলিভারি দিন, নতুবা আমার টাকা আমাকে ফেরত দিন। তিন দফায় লাইভ চ্যাটে অভিযোগ করেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আমার অর্ডার নম্বর ৬০৮৯৩৭৬৬৮৩৪….।” এসব বিষয়ে আল আমিন মুন্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মানবকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও মোবাইল হাতে পাচ্ছি না, এই কষ্ট কাকে বলব! তাই পোস্ট দিয়েই সবাইকে জানালাম।’

রৌদ্রউজ্জ্বল সানী নামের আরেক ক্রেতা দারাজের ৬ টাকার মিস্ট্রি বক্স মাধ্যমে তিনটি পণ্য ক্রয় করেন। তিনি ঘড়ি, কানের ঝুমকা ও টাউজার কিনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঘড়ি চলে না নষ্ট, মেয়েদের ঝুমকা এক কানের আছে, আরেক কানের নাই। ট্রাউজার অবশ্য শীতের মধ্যে দৌড়াতে কাজে দেবে।’

এসব বিষয়ে জানতে দারাজ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইল করেন প্রতিবেদক। সেই প্রশ্নের জবাবে দারাজ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (বিপণন) মো. ফয়েজ জানান, ‘আমাদের প্রতিটি রিফান্ড যথাযথভাবে দারাজ রিটার্ন অ্যান্ড রিফান্ড পলিসির অধীনে হয়ে থাকে, অতএব এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

দারাজের বিষয়ে নানা অভিযোগ দেয়া হলেও এসব বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয় না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দারাজ গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়েই সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।’

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১