• ঢাকা, বাংলাদেশ

এবার রাজস্ব আদায়ে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে 

 admin 
11th Sep 2020 11:12 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক্ক, করসহ সব ধরনের রাজস্বের লেনদেন ই-পেমেন্টের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে দেশের সব কাস্টম হাউস ও স্টেশনে এ ব্যবস্থা চালু হবে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কমলাপুর আইসিডি কাস্টম হাউসে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় রাজস্ব পরিশোধ শুরু হবে। এরপর ওই বছরের ১লা জুলাই থেকে দেশের সব কাস্টম হাউস ও স্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব ই-পেমেন্টের মাধ্যমে জমা বাধ্যতামূলক করা হবে। সবশেষে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে সব কাস্টম হাউস ও স্টেশনে সব ধরনের পণ্য চালানের রাজস্ব ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। জাল-জালিয়াতি বন্ধ এবং রাজস্ব আহরণ গতিশীল ও স্বচ্ছ করার জন্য ই-পেমেন্ট চালু করা জরুরি বলে মনে করে এনবিআর।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ই-পেমেন্টের অর্থ হচ্ছে, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা। কাস্টম হাউসে এ ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে রাজস্ব বাবদ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের আরটিজিএসের (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) মাধ্যমে সরকারের ট্রেজারি অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হবে।

আমদানি পর্যায়ে সহজে শুল্ক্ক-কর পরিশোধের জন্য এনবিআর ২০১৭ সালে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম চালু করে।

আরটিজিএস ব্যবহার করে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা জনপ্রিয় করা ছিল অ্যাসাইকুডা চালুর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু পদ্ধতিটি বাধ্যতামূলক না করায় এর সুফল পাচ্ছে না এনবিআর। এনবিআরের এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধিত রাজস্বের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৫ই মার্চ পর্যন্ত এই ব্যবস্থায় চার হাজার ১১০ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে।

এনবিআরের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ই-পেমেন্টের মাধ্যমে রাজস্ব জমা করা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শুল্ক্ক-কর পরিশোধের আধুনিক পদ্ধতির সেবা থেকে আমদানিকারকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে, জাল চালান দাখিলের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। কম রাজস্ব দিয়ে বেশি রাজস্ব জমার জাল দলিল তৈরি হচ্ছে। আবার মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক অফিসের সঙ্গে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহবিষয়ক হিসাবে গরমিল থাকছে। এ অবস্থায় জাল-জালিয়াতি প্রতিরোধে দ্রুততার সঙ্গে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা জরুরি। এতে রাজস্ব সংগ্রহ সহজ হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১