বুধবার বিকালে বনানীতে পার্টির সংসদ সদস্য ও সভাপতিমণ্ডলীর সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলেনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এরশাদ মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছেন। ফলে তার বোনমেরোতে (অস্থিমজ্জা) হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের হার ১২ শতাংশের জায়গায় হয় ১০ শতাংশ।
“তাকে এখনো রক্ত দিতে হয়। এখানে শারীরিক অবস্থা যেহেতু উন্নতির দিকে, তাই তাকে এখন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাই আমরা।”
রাঙ্গাঁ জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও কথা বলছেন তাদের সঙ্গে।
“সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসকরা দেশে এসে উনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে যদি ওখানে নিয়ে যেতে চান, তাহলে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া, চিকিৎসার খরচ বহনে জাপা প্রস্তুত।”
রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যার পাশাপাশি ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন ৯০ বছর বয়সী সাবেক এই সামরিক শাসক। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বৈঠকের আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের ভাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। তার ফুসফুসে যে ইনফেকশন ছিল, সেটা ক্রমে কমে আসছে। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তার কিডনি জটিলতার কারণে প্রস্রাব হচ্ছিল না। তবে সেটার উন্নতি হয়েছে।”