
সৈয়দ মোঃ ইফতেকার আহসান (হাসান) তার ফেসবুক টাইমলাইনে বলেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এক অনুষ্ঠানে বললেন, এরশাদ নাকি জিয়াউর রহমান কে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। উনার কথাবার্তা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে যে,আওয়ামীলীগ ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মানে অন্য কোন দলের নূন্যতম ভূমিকা নেই।
ভুলে গেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পল্লীবন্ধু এরশাদই প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্স তৈরি করে দিয়েছিলেন।
এটাও ভুলে গেলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বৎসর পর (ক্ষমতায় আসতে না পারলে বিলীন হয়ে যেতেন) পল্লীবন্ধু এরশাদ এর সমর্থনে আপনি প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেদিন বিএনপি এরশাদ কে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পল্লীবন্ধু এরশাদ সেদিন বিএনপি’র প্রস্তাব নাকচ করে আপনাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
তারপর ২০০৮ সালে এরশাদ ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে আপনাকে সমর্থন দিয়ে মহাজোট সৃষ্টি করেছিলেন। পল্লীবন্ধু এরশাদের সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে আপনি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন এবং আবারো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তখন এদেশে নির্বাচনই হতোনা। আপনাদের অবস্থান কোথায় যেত জাতি তা ভাল করেই জানে।
তদ্রূপ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও পল্লীবন্ধু এরশাদ নির্বাচনে ছিল বলেই আজও আপনি প্রধানমন্ত্রী।
কৃতজ্ঞতার লেশমাত্র আপনার মধ্যে নাই। অথচ পল্লীবন্ধু এরশাদ না থাকলে আপনার দল ক্ষমতায় আসা দূরের কথা অস্তিত্ব সংকটে পরতেন। পল্লীবন্ধু এরশাদ আপনার সাথে বেইমানি করলে এদেশে শুধু দুইটা দলই থাকতো তা হচ্ছে, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি।
পরিশেষে এটুকু মনে করিয়ে দেই, পল্লীবন্ধু এরশাদ যখন সিএমএইচ এ অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তখন অসুস্থ এরশাদ কে একটিবারের জন্য দেখতে আপনি হাসপাতালে যাননি।
অবশেষে ১৪ জুলাই, ২০১৯ পল্লীবন্ধু এরশাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অথচ পল্লীবন্ধু এরশাদ এর কফিনে একটা ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানাতেও আপনি যাননি। তবে দেশের লক্ষ, কোটি জনতা সেদিন পল্লীবন্ধু এরশাদ কে অশ্রু সিক্ত নয়নে, হৃদয় নিঙ্গড়ানো ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানিয়েছিলেন।
ধন্যবাদান্তে
সৈয়দ মোঃ ইফতেকার আহসান (হাসান)
সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় পার্টি।
(সাবেক ছাত্র নেতা)