
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল ৬ মে ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার (০৩ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৬ মে সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।“সেখানেই ফলাফলের বিস্তারিত প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী।”
সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় এবার তা হচ্ছে না।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী। দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়।
মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র। এবছর ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী।
আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৭ লাখ ১০২ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এবার এক লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এদিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হবে ১২ মে, চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আগের মতো ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা হবে না। একজন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে অনলাইনে কমপক্ষে পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়।
অনলাইনে ১৫০ টাকা দিয়েই ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। এছাড়া টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস করেও আবেদন করার সুযোগ আছে। তবে এসএমএসের ক্ষেত্রে প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা করে ফি দিতে হবে। উভয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করা যাবে। এরপর শিক্ষার্থীর ফল ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচন করে দেয়া হবে।
Array