• ঢাকা, বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস নিয়ে যা বলছে ধর্ম ও বিজ্ঞান 

 admin 
14th Mar 2020 6:03 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভেতর আতঙ্কও। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরাও এর ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

গত ডিসেম্বরে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এখন বিশ্বের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ এ ভাইরাসের আক্রান্ত।

নানা সময়ে মহামারি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে একেক ধর্মে একেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন, বাইবেলের উক্তি তুলে ধরে অনেক খ্রিস্টীয় অনুসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এমন একটি সময় আসবে ‘যখন একটি রোগে অনেক মানুষ মারা যাবেন।’একজন লিখেছেন, ‘দুঃখের দিনের শুরু’ ম্যাথু ২৪:৩-৮। আরেকজন ‘যিশু ফিরছেন’ এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলের আগুন… করোনাভাইরাস… অপ্রচলিত জায়গায় ভূমিকম্প… বিশ্বব্যাপী হিংসা/খুন বেড়ে যাওয়া… ক্ষুধার্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া… আর তারা যারা পুনরুত্থানের কিতাবকে অবজ্ঞা করে।’

ইসলাম ধর্মের অনেক অনুসারীও ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। অনেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার আগে ওযু করার সঙ্গে মিলিয়েছেন। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে বলেছেন।

অনেকে হাদিসে বর্ণিত একটি অসুখের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, পৃথিবী শেষ হবার আগে একটি রোগ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। অনেকে কেয়ামতের আগে কাবায় ‘তাওয়াফ’ বন্ধ হবে এই ঘটনার সঙ্গে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কাবায় ওমরাহ বন্ধের তুলনা করেছেন।

অনেক হিন্দু ধর্মের অনুসারীও এ নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা হাজির করেছেন। অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি এ ভাইরাসকে একটি ‘রাগী দেবতা’ বলে অভিহিত করেছেন।

‘করোনা ভাইরাস নয়, এটি নিরীহ প্রাণীকে রক্ষার অবতার। যারা এদের ভক্ষণ করেন, তাদের মৃত্যু ও সাজার শাস্তি শোনাবার জন্য এরা এসেছে’ বলেন তিনি।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের করোনার মূর্তি তৈরি করে ক্ষমা চাওয়ার দরকার ছিল বলে মনে করেন চক্রপাণি

আসাম বিজেপির সদস্য সুমন হরিপ্রিয় দাবি করেন যে, গোমুত্র ও গোবর করোনা ভাইরাসের দূষণ থেকে বাঁচায়।

বিজ্ঞান যা বলছে?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা ভাইরাস প্রাণী ও মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ছড়াতে পারে। এটি ভাইরাসের একটি বিশাল পরিবার যা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টজনিত জটিল রোগ মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (মার্স-কোভ) ও সিভিয়ার অ্যাক্যুট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (সার্স-কোভ)-এর কারণ হতে পারে।

এ পরিবারের নতুন সদস্য নতুন করোনা ভাইরাসটি, যা কোভিড-১৯ নামের নিউমোনিয়াসদৃশ রোগের কারণ হতে পারে। এ রোগ মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

সার্স ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল সিভেট নামের একরকমের প্রাণী থেকে। মার্স ছড়িয়েছিল উট থেকে৷ তবে নতুন করোনা ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের প্রায় চার হাজার ৩০০ জন মারা গেছেন। এদের বেশিরভাগই চীনের হুবেই প্রদেশের।

তবে পৃথিবীতে এর আগে রোগের এর চেয়েও ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। যেমন চতুর্দশ শতকে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটায় ইউরেশিয়া অঞ্চলের কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি থেকে ২০ কোটি মানুষ মারা গেছেন। এই প্লেগকে বলা হত ‘ব্ল্যাক ডেথ’। এটি ইঁদুর থেকে ছড়িয়েছিল ও এক রকমের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।

১৯১৮ সালে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামে পরিচিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ৫০ কোটি মানুষকে আক্রমণ করে এবং ১.৭ কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষ মারা যান। কেউ কেউ অবশ্য বলেন তখন ১০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১