
চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণাকে সামনে রেখে বড় হচ্ছে চট্টগ্রাম শহর। এ লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীতে নির্মাণ হচ্ছে টানেল। যার ৪৮ ভাগ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রীক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
কর্ণফুলী নদীর মোহনায় দুইপাড় এখন দিনরাত ব্যস্ততায় মোড়া। নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম টানেল। যার নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর শ্রমিকরা ব্যস্ত নকশা অনুযায়ী নানা জটিল হিসাব মেলাতে।
আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলে থাকছে দুইটি টিউব। নদীর উত্তর প্রান্ত থেকে আনোয়ারা অভিমুখী টিউবে বসানো হবে ১২৪৯টি সেগমেন্ট। উল্টো দিকের টিউবে থাকবে ১২০০ সেগমেন্ট। প্রতিটি সেগমেন্টে প্লেট থাকছে ৮টি। প্রতিদিন টানেল বোরিং মেশিন-টিবিএম দিয়ে ৪০টি প্লেট বসানো হচ্ছে। ইরিমধ্যে ৩০৭টি সেগমেন্টে বসানো হয়েছে ২৪৫৬টি প্লেট।
দেশে প্রথমবারের মতো এই স্থাপনা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এগুচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এই টানেলের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামে খুলছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। আউটার রিং রোড হয়ে চট্টগ্রাম শহরকে পাশ কাটিয়ে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ তৈরি হবে। যাতে দুরত্ব কমবে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক পণ্য পরিবহনে কমবে ভোগান্তি।
মূল্য জটিলতা কাটিয়ে টানেলের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৩৮১ একর জমি।