কাঁঠালের ভেতরে করে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্ত্রীসহ রেলওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ চৌধুরী আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, রেল পুলিশের টিএসআই বাবুল খন্দকার (৫২) ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৯)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম আল মামুন আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বাবুল খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়ে মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, মাদক প্রাপ্তির উৎস, আসামিদের দখল থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, তাদের সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন আহমেদ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৪) সদস্যরা। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।

র‌্যাবের দাবি, আটক বাবল খন্দকার রেলওয়ে পুলিশে চাকরি করেন। চাকরির আড়ালে ট্রেনে করে প্রায়ই ঢাকায় ইয়াবা ও গাঁজার চালান নিয়ে আসতেন। বুধবার সকালে আসামি বাবুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে গোমতি এয়ারকন পরিবহনের একটি বাসে করে স্ত্রীসহ ঢাকায় আসেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় ওই বাসে তল্লাশি চালিয়ে স্ত্রীসহ বাবুলকে শনাক্ত করে। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ভেতর থেকে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-৪ এর পুলিশ পরিদর্শক কবির উদ্দিন গেন্ডায়িা থানায় মামলা দায়ের করেন।