
কুমিল্লার দেবীদ্বারে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে মা-ছেলেসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মোখলেছুর রহমান (৩৪) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ঘাতক মোখলেছুর রহমান। এ সময় ঘাতকের দায়ের কোপে নুরুল ইসলাম নামে আরো একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে
নিহতরা হলেন- রাধানগর গ্রামের মো. শাহ আলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০), ছেলে আবু হানিফ ( ১২), একই গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩৬) ও মা মাজেদা বেগম (৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ঘাতক মোখলেসুর নিজ বাড়ি থেকে দা নিয়ে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাড়িতে যান। এ সময় আচমকা নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমকে কোপাতে থাকে। নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে মোখলেস। পরে তাদের আর্তচিৎকারে নুরুল ইসলামের মা মাজেদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এরপর মোখলেস রক্তমাখা দা নিয়ে যায় আরেক প্রতিবেশী শাহ আলমের বাড়িতে। সেখানে শাহ আলমের ছেলে স্কুলছাত্র আবু হানিফকে (১০) গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে এলে শাহ আলমের স্ত্রী আনু বেগমকেও গলা কেটে একই ভাবে হত্যা করে মোখলেস।
এ সময় খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন মোখলেসকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা ও মা মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা নাজমা ও মাজেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম নুরুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দেবীদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ঘাতকের নাম মোখলেসুর রহমান (৪০)। পেশায় রিকশাচালক। সে মাদকাসক্ত ও মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের খবরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Array