
ঘন কুয়াশা। মৃদু বাতাশ। কনকনে ঠান্ডা। কাঁপছে মানুষ, পশু-পাখি। বিপাকে ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেবর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ডিসেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই চলছে শীতের দাপট। বিকাল হতেই নেমে আসে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও থাকে নিরোত্তাপ রোদ।
সারাদিন প্রবাহিত হয় হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া। সন্ধার আগেই শীতের তিব্রতায় দ্রুত ঘরে ফেরে মানুষ। ফাঁকা হয়ে যায় জনপদ। এই শীতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলসহ গ্রামের মানুষ। ঠান্ডা মোকাবেলায় সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করছে সবাই।
তারপরেও চাহিদা ও সাধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন গ্রাম ও চরাঞ্চলের গরীব, ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে হালকা কাপড় জড়িয়ে গুটিশুটি মেরে রাত্রি পার করে তারা। ঘরের ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে সোজা বাতাস গিয়ে লাগে তাদের শরীরে। ঠকঠক কাঁপে শরীর। ঘুম হয় না রাতে। সকালে ওই অবস্থায় কাজে যেতে হয় তাদের।
অতিরিক্ত এ ঠান্ডায় আরো করুণ অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। খরকুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে তাদের।
বামনডাঙ্গা সেনপাড়া গ্রামের শতবর্ষী পাইনানী বালা, বাহেজ আলী, অভয় সেন (৮০), হাসনাবাদ এলাকার হাজেরা বেওয়া (৭০), সুখাতী গ্রামের কান্দরি বেওয়া (৮০), খুকু মনি বেওয়া (৭৫), পৌরসভার পুর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার ছাবেদ আলী (৬৫), মমেনা বেওয়া (৫৮), শামছুল হোসেন (৬০)সহ অনেকেই জানান, ‘কি ঠান্ডা বাহে। ঠান্ডা বাতাসে হাত, পাও গড গড করি কাপে। বুড়া হাড্ডিত জ্বার খুবই নাগবার নাগছে। পাতলা কাপড়োত ঠান্ডায় যাবার নাগছে না। কেমন করি বাইচমো কনতো। কাইয়ো একখান কম্বল দিলেন হয় বাহে।’
এদিকে ঠান্ডা জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, কুড়িগ্রামে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘন্টা তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।
Array