
ঢাকা, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর-২০১৯: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, কৃষকরাই সব চেয়ে অবহেলিত, কৃষি খাত এখনো অলাভজনক। তিনি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি প্রকৃত কৃষকদের হাতে পৌঁছেনা। আবার কৃষকদের হাতে যখন ধান থাকে তখন ধানের দাম থাকেনা কিন্তু কৃষকরা ধান বিক্রি করলেই চালের দাম বেড়ে যায়। মধ্যসত্ব ভোগীদের কারনে কৃষকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার সরকারী ভাবে যখন কৃষিপণ্য ক্রয় করা হয়, তখন কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতাদের লোক প্রভাব বিস্তার করে কৃষকদের প্রাপ্য অধিকার কেড়ে নেয়। অথচ শুধু কৃষকদের জন্যই বাংলাদেশ বলতে পারে সারা পৃথিবী আমাদের বর্জন করলেও আমাদের উৎপাদিত পণ্য দিয়েই বেচেঁ থাকতে পারবো। যা পৃথিবীর অনেক দেশই বলতে পারেনা।
আজ দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কাচি-কাঁচার আসর মিলনায়তনে জাতীয় কৃষক পার্টির দ্বি – বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি আলহাজ্জ সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। তিনি বলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কাজ দিয়ে প্রমান করেছেন তিনি কৃষকদের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে জাতীয় পার্টির বীজ বপন করা আছে। শুধু কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই জাতীয় পার্টির উজ্জল সম্ভবনা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন আমরা ব্যক্তি স্বার্থ নয় শুধু দেশ ও সাধারন মানুষের জন্য রাজনীতি করছি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কৃষকের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন। তিনি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করেছিলেন। এরশাদের আমলে চালের কেজি ৬টাকা ছিলো কিন্তু কৃষকরা সুখেই ছিলো। কিন্তু এখন চালের দাম ধরাছোয়ার বাইরে কিন্তু কৃষকরা পণ্যের দাম পায়না। পেঁয়াজ সংকট চলছে, পাকিস্তান ও সিরিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানী করা হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদকারী কৃষকদের একভাগ কৃষকও মৌসুমে ন্যায্য মূল্য পায়নি। জাতীয় পার্টির পতাকা তলে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহবান জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।
সম্মেলন শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আগামী দু’বছরের জন্য জাতীয় কৃষক পার্টির জন্য সাহিদুর রহমান টেপা-কে সভাপতি ও এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার-কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেন। সম্মেলনে কৃষিবীদ ইসহাক জাকারিয়া ভূইয়া জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস.এম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন, এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান হেনা খান পন্নি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নূরুল আজহার, ভাইস চেয়াম্যান মোঃ আরিফুর রহমান খান, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শাহ-ই-আজম, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভুইয়া, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, হাজী মৌলভী ইলিয়াস উদ্দিন, সুজন দে, এনাম জয়নাল আবেদীন , হাফেজ ক্বারী ইসা রুহুল্লাহ আসিফ। কেন্দ্রীয় নেতা- আজহারুল ইসলাম সরকার, কুতুব উদ্দিন, আলহাজ¦ আব্দুল বাতেন, এড. ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, এড. আবু তৈয়ব, আক্তার হোসেন, মোঃ দ্বীন ইসলাম শেখ, মোঃ সোলায়মান সামি, মোঃ ফারুক শেঠ, আব্দুল কুদ্দুছ মানিক, হুমায়ুন কবির শাওন, ফরিদা শিকদার, মিনি খান, প্রিয়াংকা, তাসলিমা আকবর রুনা, জিমএম বাবু, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল।
জাতীয় কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জাতীয় কৃষক পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন , কৃষক পার্টির নেতা মোঃ দুলু, রমজান আলী ভুইয়া, মহতি চাকমা, জালাল উদ্দিন, আসমা সোলতানা, মোঃ মেজবাহ উল হক, মোঃ মিজানুর রহমান, এড. এমদাদুল হক, এনামুল হক, মাইন উদ্দিন খান, মোহাম্মদ পারভেজ শেখ হৃদয়, আবুল কাশেম, হাজী মোঃ শাহাবুদ্দিন, আওয়াল হোসেন আবাদী, আব্দুল আলীম মন্টু, মোশারফ হোসেন দুলাল, বাদশা মিয়া, মোবারক হোসেন, আব্দুল আলীম প্রমুখ।
Array