
আগামী ১৩ মার্চ দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এক্ষেত্রে নতুন চেয়ারম্যান কে হচ্ছে- তা নিয়ে সরকার, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই র্শীষ কর্মকর্তা বিদায় নেওয়ার পর নতুন চেয়ারম্যান এবং একজন কমিশনার শূন্যপদে কারা স্থান পাচ্ছেন- তা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে দুদকে। সবার দৃষ্টি আগামী ৫ বছর মেয়াদি দুদকের নতুন চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন-সেদিকে। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য সরকার ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। জানা গেছে, ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠনের পর এ পর্যন্ত চারজন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেন। দুদকের আইন অনুযায়ী, কমিশন (দুদক) তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান হন। আর এই কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খাঁন, দ্বিতীয় চেয়ারম্যান সাবেক সচিব গোলাম রহমান। তৃতীয় চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান। চতুর্থ চেয়ারম্যান (বর্তমান) মো. ইকবাল মাহমুদ। এবার পঞ্চমবারের মতো কার ভাগ্যে চেয়ারম্যান পদটি অপেক্ষা করছে- তা নিয়ে যত আলোচনা। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সরকার দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও একজন নতুন কমিশনার নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
গত ২৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। কমিটির অপর চার সদস্য হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা (সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আগের অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যদি তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রিপরিষদ সচিব)।
এ কমিটির সদস্যরা আলোচিত দুটি পদের জন্য দুজন করে মোট চারজনের একটি তালিকা তৈরি করবে এবং সুস্পষ্ট মতামত এবং সুপারিশমালাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেবেন।
সরকারের বাছাই কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনারের পদ শিগগিরই শূন্য হবে বিধায় তাদের স্থলে দুজন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন,২০০৪’-এর ৭ ধারা অনুযায়ী এ বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে তিনজনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করবে। এরপর আইনের ধারা ৬-এর অধীনে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কমপক্ষে চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বাছাই কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।