
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে নিউজিল্যান্ডকে ২৭২ রানের টার্গেটে দিয়েছিল টাইগাররা। এই মাঠে ২৬০ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। তাই বাংলাদেশের আশা ছিল ম্যাচ জেতার। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে তিন ম্যাচের সিরিজটাও হেরে গেলো বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডেতে জিততে না পারলে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরতে হবে বাংলাদেশ।
টস হেরে তামিম ইকবাল ও মিঠুনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল করেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান। মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাঠ ছাড়েন লিটন দাশ। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাট হেনরির চতুর্থ বলে পুল করতে গিয়ে শটে থাকা উইল ইয়ংয়ের ক্যাচে দলীয় ৪ ও ব্যাক্তিগত শূন্য রানে বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দেখেশুনে খেলন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। এই জুটি ৮১ রান তোলে। তবে ভালো খেলতে থাকা সৌম্য মিচেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৬ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ করেন এই বাঁহাতি।
দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৩৩ রানে মাথায় রান নিতে গিয়ে আউট হন তিনি। ১০৮ বলে ১১টি চারে ৭৮ করে টাইগার অধিনায়ক। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ২১২তম ওয়ানডেতে এসে এদিন ৮৪ বলে ফিফটি করেন তিনি। এরপরেই দলীয় শতরান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
দলীয় ৪১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। ৫৯ বলে ৩টি চারে ৩৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর দলীয় ২০০ রান করে বাংলাদেশ।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মিথুন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এই ডানহাতি ৫৭ বলে ৭৩ রান করেন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন। আর মেহেদি হাসান আউট হন ৭ রানে।
কিউই বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট পান স্পিনার স্যান্টনার। এছাড়া বোল্ট, হেনরি ও জেমিসন একটি উইকেট দখল করেন।
২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজুরের ফাঁদে পা দেন মার্টিন গাপটিল। তাকে ২৮ রানে ফেরান এই টাইগার পেসার। পরে হেনরি নিকোলসকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট করেন মেহেদী হাসান। এরপর দলীয় ৫৩ রানে কিউই শিবিরে আবারও হানা দেন মেহেদী। উইল ইয়াংকে ১ রানে বিদায় করেন এই টাইগার স্পিনার।
বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। দুজন ১১৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের করা ২৭২ রানের জবাব দিচ্ছিল। বাংলাদেশের জন্য এ জুটি হয়ে উঠছিল গলার কাঁটা। বোলাররা যখন কিছু করতে পারছিলেন না তখন অধিনায়ক তামিম নিজেই দায়িত্বটা নিলেন। সরাসরি থ্রোতে ভাঙলেন জুটি। কনওয়ে রান আউট ৭২ রানে। ৯৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিজের ইনিংসটি সাজান।
তারপর জেমি নিশাম ছোট তবে কার্যকারী একটা ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম ১০৮ বল খেলে ১০টি চারে ১১০ রান করেন। নিশাম করেন ৩০ রান।
Array