admin
22nd May 2021 10:18 pm | অনলাইন সংস্করণ

জুয়া খেলে কেউ হয় নিঃস্ব, আবার কেউ হয় কোটিপতি। তেমনই একজন কোটিপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাব্বির মিয়া (২৯)। এক সময় অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনোরকমে সংসার চলতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্রিকেট জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আইপিএল ও বাংলাদেশের বিপিএল খেলার সময় জুয়া খেলেন। মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে তিনি জুয়া খেলে থাকেন।
এভাবেই ছোট্ট কনফেকশনারি দোকানী থেকে এখন কোটিপতি সাব্বির। দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা খেললেও ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পীর বাড়ি এলাকা থেকে সাব্বির জুয়ারিসহ ৭ জুয়ারি অবশেষে র্যািবের হাতে আটক হয়।
তার গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসীর মাঝে তার সম্পদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা। অবশেষে সাব্বির সহ এই জুয়ারি চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্য র্যািবের জালে আটকা পড়ে তাদের সব গোমর ফাঁস হয়ে যায়।
আটকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা (পীর বাড়ি) এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (২৯), মো. মুসা মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮), আখাউড়ার দেবগ্রামের মৃত আকবর মিয়ার ছেলে হৃদয় মোল্লা (১৯), উচ্চালিয়া পাড়ার মো. দেওয়ান আলীর ছেলে মো. মুন্না (২৪), মাগিগাঁওয়ের রকি আলীর ছেলে মো. রাসেল (৩০), সৈয়দটুলার মো. সৈয়দ আলীর ছেলে মো. ফারুক মিয়া (২৮) ও সরাইলের কুট্টা পাড়ার মৃত শাহ আলম ভূঁইয়ার ছেলে তানভীর আহম্মদ ভূঁইয়া (৩৪)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, টিভি ও সাতটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও সাব্বির মিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের অর্থ রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আক্কাছ আলী।
জানা যায়, তারা অন্যান্য জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইলের মাধ্যমে বাজি ধরেন ক্রিকেট খেলার দল, প্রতি বল, ওভার ও ইনিংস নিয়ে। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার তার এজেন্ট রয়েছে।
Array