• ঢাকা, বাংলাদেশ

ক্ষতিগ্রস্ত হার্টের টিস্যু পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন 

 admin 
19th Dec 2018 8:35 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো’র (ইউসিএসএফ) বিজ্ঞানীরা নতুন একটি ওষুধ উদ্ভাবন করেছেন যা হায়পক্সিয়া (রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা)অবস্থায় অক্সিজেন সরবরাহের বিঘ্নতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হার্টের টিস্যু পুনরায় সক্রিয় ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে।

নতুন এই ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে উৎপাদনকারী বায়োটেকনোলজি কম্পানি অমনিওক্স ইন্টারন্যাশনাল। নতুন এই ওষুধটির নাম রাখা হয়েছে ওএমএক্স-সিভি (omx-cv)। পিএলওএস বায়োলজি জার্নাল বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

ক্যান্সার, হৃদরোগ, ট্রমা, অক্সিজেনের নিম্নমাত্রার সমস্যা অথবা হায়পক্সিয়া, বা অন্যান্য রোগের প্রভাবে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হলে এই ওষুধ অক্সিজেন সরবরাহ সচল ও সক্রিয় করবে। এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং রক্তে অতিরিক্ত অক্সিজেনেশনের সম্ভাবনা নেই। এটি অক্সিজেন সংবহন করে কোষের চাহিদা মতো পৌঁছে দেবে।

লিভারের রোগ প্রতিরোধের জন্য সেরা ১২টি খাদ্য : আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি লিভার। ফলে লিভারের সামান্যতম কোনো ক্ষতি হলেও তা আমাদের পুরো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সুতরাং লিভার রোগের প্রাথমিক কোনো লক্ষণ দেখা গেলেও সতর্ক হতে হবে। নয়তো লিভার ড্যামেজ হয়ে ভয়ানক কোনো পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

মানবদেহে লিভারের কাজটা আসলে কী? আপনার পাকস্থলীর ডানপাশে অবস্থিত লিভারের প্রধান কাজ হলো হজম প্রক্রিয়া থেকে আসা রক্ত দেহের অন্যান্য অংশে পাঠানোর আগে ফিল্টার বা পরিশোধন করা। এছাড়া দেহের রাসায়নিকগুলোকে বিষমুক্ত করা এবং বিষাক্ত পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেওয়ার কাজও করে লিভার। এর পাশাপাশি লিভার রক্ত জমাট বাধানো এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনও তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বাঘাত ঘটলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

আপনি যেসব খাবার খান তা আপনার লিভারের স্বাস্থ্যের ওপর খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সুতরাং লিভারের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই লিভারের রোগপ্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলো লিভারকে ভালো রাখতে সহায়ক।

১. রসুন : রসুন এর সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য বিখ্যাত। রসুনে আছে অ্যালিসিন, যা পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। এটি শরীরকে বিষাক্ত রাসায়নিকজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এবং লিভারকে সেসব এনজাইম সক্রিয় করতে উদ্দীপনা যোগায় যেসব এনজাইম দেহ থেকে লিভারের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়ক।

২. হলুদ: হলুদে আছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। কার্কিউমিন এর সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ানাশক উপাদানের জন্য পরিচিত। হলুদ প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। ফলে যে কোনো রোগ থেকে লিভারও থাকে সুরক্ষিত।

৩. গাজর: সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য পরিচিত গাজরে আছে জরুরি সব ভিটামিন, খনিজ এবং খাদ্য আঁশ। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে লিভার থেকে ফ্যাটি এসিড এবং বিষাক্ত পদার্থ কমে আসে।

৪. গ্রিন টি: গ্রিন টি এর সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের পরিচিত। এছাড়া গ্রিন টি-তে আছে ক্যাটেচিন নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পলিফেনল যা লিভার থেকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণে সহায়ক এবং লিভারকে স্বাস্থ্যবান রাখে। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে সবেচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

৫. অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর সব চর্বিতে সমৃদ্ধ। যা এর প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য পরিচিত। প্রতিদিন ৩-৪ টুকরো অ্যাভোকাডো খেলে লিভার যে কোনো ধরনের ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

৬. অলিভ অয়েল: এতে আছে উপকারী চর্বি। অন্য যে কোনো তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল লিভারের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। অলিভ অয়েল রক্তে বাজে কোলেস্টেরল, সেরাম ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং লিপিড অক্সিডেশন বাড়ায়। যা আপনার লিভারকে সুস্থ্য রাখতে সহায়ক।

৭. সবুজ শাকসবজি: স্পিনাক, লেটুস এবং সবুজ সরিষা শাক এরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদানের জন্য পরিচিত। এছাড়া সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, সবধরনের জরুরি ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। প্রতিদিন এক কাপ করে সবুজ শাকসবজি খাওয়াকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলুন।

৮. বাদাম: আখরোট এবং কাজুবাদামের মতো বাদামজাতীয় খাদ্য স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। এছাড়া এতে আছে প্রচুর প্রদাহরোধী উপাদান। প্রতিদিন ৮-১০টি কাজুবাদাম এবং আখরোট খেলে লিভার রোগ প্রতিরোধ হয় এবং লিভার সুস্থ থাকে।

৯. বিটরুট জুস: বিটরুটে আছে বিটালাইনস নামের প্রধান একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানটির কারণে বিটরুট জুস খেলে ডিএনএ ড্যামেজ এবং লিভারের রোগ প্রতিরোধ হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস বিটরুট জুস পান করলে বা সপ্তাহে ৩-৪ বার এক কাপ বিটরুট খেলে লিভার পরিষ্কার হয়।

১০. জাম্বুরা: জাম্বুরাও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা রাসায়নিক বিষক্রিয়ারোধী উপদানের জন্য পরিচিত। প্রতিদিন এক গ্লাস জাম্বুরার জুস পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি নানা সংক্রমণ থেকেও দেহ রক্ষা পায়। জাম্বুরা লিভারকে বিষমুক্তকরনেও গুরত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে যা লিভারকে রোগমুক্ত রাখে।

১১. পূর্ণশস্য: লাল চাল, কুইনোয়া এবং বাজরা বা বনগম হলো সবচেয়ে সেরা পূর্ণশস্যজাতীয় খাদ্যগুলোর অন্যতম। এসব পূর্ণশস্যজাতীয় খাদ্যে আছে প্রচুর খাদ্য আঁশ, যা শুধু ওজন কমাতেই সহায়ক নয় বরং মদপানজনিত নয় এমন ফ্যাটি লিভার রোগও প্রতিরোধ করে।

১২. আপেল: প্রবাদ আছে না, ‘প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না’। আপেল লিভার ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। আপেলে থাকা পলিফেনল লিভারে যে কোনো ধরনের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। এর মধ্য দিয়ে আপেল লিভারকে হেপাটাইটিস এর মতো রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১