• ঢাকা, বাংলাদেশ

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, দ্বিগুণ হচ্ছে সংখ্যা ও অর্থ 

 admin 
13th Sep 2019 8:06 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে প্রথম শ্রেণির বৃত্তি (ট্যালেন্টপুল) ও সাধারণ কোটায় ৮২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। আগামী বছর থেকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে এক লাখ ৬৫ হাজার করা হবে। ফলে দ্বিগুণ হচ্ছে বৃত্তির সংখ্যা। একই সঙ্গে অর্থের পরিমাণও দ্বিগুণ হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা এবং এ বাবদ অর্থ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে গত আগস্ট মাসে এক সভায় এমন প্রস্তাব তোলা হয়। সেখানে সবাই এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন এবং ডিপিই ও মাদরাসা বোর্ডকে প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়। পরে চলতি সপ্তাহে ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সারাদেশে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ কোটায় অর্থাৎ মোট ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে ওই দুই কোটায় বৃত্তি দেয়া হয়।

ইবতেদায়িতে সাত হাজার ৫০০ জনকে ট্যালেন্টপুল এবং ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণসহ মোট ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তিবাবদ ট্যালেন্টপুলে মাসিক জনপ্রতি ৩০০ টাকা, সাধারণ বৃত্তিবাবদ মাসিক জনপ্রতি ২২৫ টাকা দেয়া হয়।

ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, এক লাখ ৬৫ হাজার জনের মধ্যে ট্যালেন্টপুল কোটায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৫ হাজার জনকে বৃত্তি দেয়া হবে। পাশাপাশি বর্তমানে ট্যালেন্টপুল কোটায় মাসিক ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকার বদলে ৪৫০ টাকা দেয়া হবে।

জানা গেছে, সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ছয়জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র থাকবে। এছাড়া ওয়ার্ডপর্যায়ে বৃত্তি দেয়ার পর অবশিষ্ট বৃত্তি থেকে প্রতি উপজেলায় বা থানায় দুজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বিভাগ থেকে তিনজন করে ২৪ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেয়ার পর চারজনের সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।

নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ১২ জনকে বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া ওয়ার্ডপর্যায়ে প্রতি উপজেলায় বা থানায় চারজন ছাত্র ও চারজন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতি বিভাগে ছয়জন করে ৪৮ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেয়ার পর আটটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক এফ এম মনজুর কাদির জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থ দ্বিগুণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সবাই সম্মতি জানিয়েছেন। ওই সভার পর অধিদফতর ও মাদরাসা বোর্ডকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমরা যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা তৈরি করি। চলতি সপ্তাহে সেটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যেহেতু প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, বিপুল শিক্ষার্থী ভালো ফল করছে। অনেকে ভালো ফল করলেও তাদের বৃত্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে।

‘এছাড়া প্রাথমিকে যে পরিমাণ বৃত্তিবাবদ অর্থ দেয়া হয়, বর্তমান বাজারে তা খুবই অপ্রতুল। সে অর্থ দিয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের ব্যয় বহন করতে পারছে না। তাই যৌক্তিক হিসাব-নিকাশ করে বৃত্তির অর্থ দিগুণ করতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে’- যোগ করেন ডিপিই মহাপরিচালক।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১