admin
18th Nov 2018 6:28 pm | অনলাইন সংস্করণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের রাজতন্ত্র-বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা দেশটির যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। অবশ্য শুরু থেকেই সৌদি কর্তৃপক্ষ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানায়, তুর্কি সরকার সিআইএ-এর কাছে যে রেকর্ড সরবরাহ করেছে সেটি শুনে এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে এসেছে তারা।
ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, এরকম একটি অপারেশন বিন সালমানকে না জানিয়ে করা হয়নি। বরং তার ব্যক্তিগত নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়।
সিএনএন জানিয়েছে, সিআইএ-এর তদন্ত নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সিআইএর এই তদন্ত প্রতিবেদনকে বেশ নির্ভরযোগ্য মনে করছে।
অবশ্য তদন্ত সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সিআইএ কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিন সালমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছে সৌদি সরকার।
গত দুই অক্টোবর তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশটির নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। তুরস্ক প্রথমে সৌদির বিরুদ্ধে খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ আনলে তা অস্বীকার করে সৌদি। তবে আন্তর্জাতিক চাপ ও হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন প্রমাণ গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকলে একপর্যায়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বার্তা দেয় সৌদি। শুরুতে হাতাহাতিতে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটি জানানো হলেও পরে বলা হয় যে তাকে উগ্র কিছু কর্মকর্তা হত্যা করেছে। তবে তাতে সৌদি যুবরাজ বা রাজপরিবারের কেউ জড়িত নয় বলে জানানো হয়। খাসোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও এখনো তার মৃহদেহ কোথায় তা জানায়নি সৌদি।
গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে তাকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পর এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া খাসাগি হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কাছে হস্তান্তর করেছে তুরস্ক।
এ ঘটনায় তুরস্ক শেষপর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ না নিলেও পরবর্তীতে ন্যাটো সদস্যভুক্ত কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটলে তার কঠিন পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
Array