
গত কয়েকদিনের গরমের দাবদাহে নগরবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। তীব্র উষ্ণতায় ছুটা-ছুটি করার মত উপক্রম হলেও তা করা যাচ্ছে না। কারণ আরো উষ্ণতা আপনাকে ঘিরে ধরেছে।
গরমে ঘামে শরীর থেকে বের হয়ে যায় পর্যাপ্ত পানি ও খনিজ লবন। আর যখন শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয় তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই তৃষ্ণা পেয়ে থাকে তা নিবারণের জন্য আমরা পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ড্রিংকস্, শরবত, ব্যাভারেজ, লাচ্ছি ও নানান ধরনের পানীয় পান করে থাকি।
আর সেখানে সব কিছুকে উপেক্ষা করে ডাবের পানি বা কচি নারিকেলের পানি হতে পারে পানি স্বল্পতা রোধের সুপেয় প্রাকৃতিক উৎস।
চলুন দেখে নিই এটা কীভাবে সম্ভব-
(১) শতভাগ প্রাকৃতিক যা আপনার তৃষ্ণা নিবারণে সক্ষম। চাইলে ফ্রিজে রেখে হালকা ঠান্ডা করে খেতে পারেন।
(২) ঘামের সঙ্গে খনিজ লবন যেমন: সোডিয়া, পটাসিয়াম ও ক্লোরাইড বের হয়ে যায়। আর ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম ও তার চেয়ে কিছুটা স্বল্প পরিমানে সোডিয়াম থাকে যা খনিজ লবলের মাত্রা বজায় রাখে। তাছারা ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি’ও থাকে।
(৩) ডাবের পানিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই সামান্য (প্রতি কাপে ৪৫ ক্যালরি) । তাই তা ডায়েটে কোনো ধরণের পরিবর্তন আনে না।
(৪) ডাবের পানিতে অতিরিক্ত শুগার (sugar) থাকে না তাই তা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নিরাপদ।
‘জার্নাল অব মেডিসিনা ২০১৫’ তাদের গবেষনায় প্রকাশ করেছে যে, ডাবের পানি ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষ উপকারে আসে।
(৫) ডাবের পানি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৬) গবেষনায় আরো উঠে এসেছে ডাবের পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপকে দমিয়ে রাখে।
(৭) ডাবের পানি যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ তাই তা আপনার হজমে সাহায্য করবে। একটি সম্পূর্ণ ডাবের পানিতে প্রায় শতকরা নয়ভাগ ফাইবার থাকে।
(৮) ডাবের পানি শরীরে অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
Array