
গত এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নৃশংস ওই বোমা হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এক বছরের শিশুও। রোববার ভোররাতে ওই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে শুধু শিশুর সংখ্যাই ১৩।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৯৭ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৫৮ জন শিশু ও ৩৪ জন নারী রয়েছে। আর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ ইসরায়েলি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রোববার ভোরের আগে গাজা শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে এক ও তিন বছরের দুই শিশু রয়েছে। এরা দুজনই একই পরিবারের সন্তান ছিল।
এ দিকে, আল রিমাল এলাকার কাছে চালানো ওই হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে অর্ধশত মানুষ। উদ্ধারকারীরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সাত দিন ধরে চলা ভয়াবহ এসব হামলায় গাজার হাসপাতালগুলো লাশের সারিতে ভরে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক সদস্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, ‘আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চিৎকারের শব্দ শুনছি।’
উদ্ধারকারী দলকে সহায়তাকারী মাহমুদ হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা ভয়াবহ মুহূর্ত যা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।’
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের দাবি, গত সাত দিন ধরে চলা লড়াইয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে রবিবার। একদিনে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এই দিনে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সাত দিন ধরে চলা এই লড়াইয়ে আহত হয়েছেন এক হাজার ২০০ এর বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
Array