
চট্টগ্রামের দুটি ইপিজেডে ৬৯টি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন অবস্থায় এসব কারখানা কর্তৃপক্ষ লে- অফ ঘোষণার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বেপজার (বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি) কাছে। উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয় আদেশ বাতিল হয়ে যাওয়া, কাঁচামালের সঙ্কট ও পণ্য রফতানি বিঘ্নিত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এসব কারখানা লে-অফের আবেদন করা হয়। তা মঞ্জুর হলে এসব কারখানায় কর্মরত প্রায় ১ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। দেশি ও বিদেশি মালিকানাধীন এসব কারখানার ৪৬টি চট্টগ্রাম ইপিজেডে এবং ২৩টি কর্ণফুলী ইপিজেডে অবস্থিত। দুটি ইপিজেডে মোট ১৯৯টি শিল্প কারখানায় প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক কর্মরত।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম লে-অফ ঘোষণার আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, এসব কারখানা কর্তৃপক্ষ আইন মেনেই আবেদন করেছে। নিজেদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা লে-অফ ঘোষণা করতে পারে। কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ তাঁবু, তৈরি পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্সসহ আরও বিবিধ পণ্য উৎপাদক।
এদিকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ার শঙ্কায় অন্য শ্রমিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার শ্রমিকদের রক্ষায় যেখানে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সেখানে কারখানা লে-অফ করে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের উদ্যোগকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করে এ ব্যাপারে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, চট্টগ্রাম শাখা।