• ঢাকা, বাংলাদেশ

চরম খাদ্য সংকটে প্রবাসীর পরিবার 

 admin 
29th Apr 2020 2:31 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

কর্মবিহীন জীবন পার করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীরা। অর্থকষ্টে পবিত্র রমজান মাসে প্রবাসী পরিবারগুলো আজ দিশেহারা। কারো কাছে অভাবের কথা বলতে না পেরে খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছেন তারা। কিছু প্রবাসী ভাল থাকলেও বৃহৎ একটি অংশ কর্মহীন থাকায় পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। দেশে থাকা বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই প্রবাসীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাদের বৃদ্ধ মা-বাবার রোজা রাখাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগেও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রবাসী পরিবারগুলো অভাবের কথা কারও কাছে বলতে না পেরে সরকারি ত্রাণও বঞ্চিত হচ্ছেন।

কথা হয় কুয়েত ফেরত এক প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে আজ পাকা মসজিদ, মন্দির। এলাকার খেলাধূলা, নাটক, নৌকা বাইচ, মেলাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ সকল ক্ষেত্রেই প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, গরীব ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা, গরীব অসহায় বাবার মেয়ের বিয়েসহ সকল সামজিক কর্মকাণ্ডে আমরা প্রবাসীরা পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আজ আমাদের পরিবারগুলো অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। আমরা লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে চাইতে পারছি না, কারো কাছে বলতেও পারছি না। কেউ আবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবারগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি না জানায় সাহায্যর হাত বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রবাসী পরিবারগুলো ভালো নেই।

একই কথা বলেন নবাবগঞ্জের কুয়েত প্রবাসী তাজেলের স্ত্রী। তিনি বলেন, আমার স্বামী আজ প্রায় ২০ বছর ধরে কুয়েতে আছেন। হঠাৎ ১৫ দিন আগে তিনি স্ট্রোক করেছেন ওই দেশে। স্বামীর শরীর ভালো না। তার এখন দেশে আসা প্রয়োজন। কিন্তু এখন তো আর দেশে আসার কোনো সুযোগ নেই। স্বামীর পাঠানো টাকায় সংসার চলে তার। কিন্তু গত দুই মাস ধরে টাকা পাঠাতে না পারায়, তিনি নিদারুন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রবাসী পরিবার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক রানা ভূঁইয়া বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী পরিবারগুলোর মধ্য চলছে চরম অর্থ সংকট। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা যদি সকলে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে পরিবারগুলো রক্ষা পাবে। আমরা সেভ দ্য সোসাইটি’র পক্ষ থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী প্রবাসী পরিবারের হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। সমাজের বিত্তবানরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তবে খাদ্য কষ্টে থাকা প্রবাসী পরিবারগুলোর শিশুদের মুখে তিন বেলা খাবার জুটবে।

এ ব্যাপারে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান খান মানবজমিনকে বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারী বাংলাদেশি অভিবাসী ও তাদের পরিবারের জন্য অতিমাত্রায় অভিশাপ। এই অভিবাসীরা যেদেশে বাস করেন, তারা সেদেশের নাগরিক নন। আবার যেদেশের নাগরিক, তারা সেদেশে বাস করছেন না। ফলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রেমিট্যান্স নির্ভর নিন্ম মধ্যবিত্ত অভিবাসী পরিবারগুলোর কোভিট-১৯ এর কারণে রেমিট্যান্স বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছেন। এই মধ্যবিত্ত প্রবাসী পরিবারগুলোর মধ্যে চলছে চরম খাদ্য সংকট। পরিবারে বিরাজ করছে  হাহাকার। তাই আমরা রেমিট্যান্স যোদ্বাদের সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলার ডেপুটি কমিশনারদের এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১