
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরণের ছুটি (সরকারি-বেসরকারি) আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
হাসিনা বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ছুটিটা একটু বাড়াতে হবে। আমরা ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম এটা ১৪ দিন হতে পারে।’
এসময় কোয়ারেন্টাইনের সময় কত তারিখ পর্যন্ত হবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পাশে থেকে কেউ একজন জানান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
তখনই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ পর্যন্ত…। এই ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য চিন্তা করে বলবো, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেবো।
আমাদের যারা শ্রমিক শ্রেণি আছে বা অন্যান্য যারা আছে, তারা যেন কষ্ট না পায়। তাদের তালিকা ইতোমধ্যে করতে বলেছি। তাদের যেভাবে সাহায্য দরকার আমরা সে সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবো’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। নিজে সচেতন না হলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রয়োজন ছিল জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেটি আমরা করতে পেরেছি বলেই আজকে প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি হয়ে গেল, আমরা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’
দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা:
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষের নাগালে থাকে।
- গুজবে কান দিবেন না।
- আসন্ন বাংলা নববর্ষে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গান-বাজনা করা যাবে। নববর্ষ উপলক্ষে কোন জমায়তে চলবে না। নববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন।
- জ্বর, হাঁচি-কাশি হলে লুকিয়ে রাখবেন না। লুকাতে গিয়ে পরিবারের সর্বনাশ করবেন না।
- শুধু ঢাকায় নয়, বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
- জীবন থেমে থাকবে না। করোনা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
- সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
- নার্সদের সুরক্ষার প্রয়োজন।
- কোনো পর্যটক যেন কক্সবাজারে না যায়।
- রোহিঙ্গা শিবিরে নিজেদের লোক দিয়ে সব কাজ করাবো। বাইরের কাউকে দরকার নেই।
- খেটে খাওয়া মজুরদের দিকে নজর দিতে হবে।