
সংগীত জগতের এক অন্যতম নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। প্রতিবছরই এই দিনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাটান এই সংগীত তারকা। এবারও জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্তদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন জেমস। তবু মন খুশি নেই তার।
কারণ এই মাসেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। গত বছরের ১৮ অক্টোবর হঠাৎ করেই সবাইকে ছেড়ে চিরবিদায় নেন আমাদের রুপালি গিটারওয়ালা। জন্মদিনে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটির কথা মনে করে জন্মদিনের সব আনন্দ আয়োজন থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন গুরু-খ্যাত ব্যান্ডসংগীতের মহাতারকা জেমস।
এ প্রসঙ্গে জেমস ও নগর বাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, এবার জন্মদিনে কোনো আয়োজন করছেন না জেমস ভাই। আমাদের লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর শ্রদ্ধায় দিনটি তিনি একা কাটাবেন। বাচ্চু ভাই চলে যাওয়ার পর থেকেই জেমস ভাই বারবার তার কথা মনে করেন। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বাচ্চু ভাইকে হারানোর শোক জেমস ভাই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। ওপারে ভালো থাকুন বাচ্চু ভাই।
বাংলাদেশে ও দেশের বাইরেও সমান জনপ্রিয় জেমস। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণ দিয়েছেন নিজেকে। তাকে বলা হয় রিয়েল রকস্টার।
জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। তিনি নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস।
এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়া জেমসের অন্য অ্যালবামগুলো হলো- নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’। একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ কোরো না’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’।
বলিউডে গাওয়া জেমসের গানের মধ্যে রয়েছে ভিগি ভিগি (গ্যাংস্টার), চল চলে (ও লামহে), আলবিদা (রিপ্রাইস), রিশতে (লাইফ ইন এ মেট্রো), বেবাসি (ওয়ার্নিং থ্রিডি)।
সংগীতে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশের আরো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জেমস। এখনো গানকে ঘিরে কাটছে তার জীবন।
Array