admin
05th Apr 2021 9:30 pm | অনলাইন সংস্করণ

অবৈধ মৎস্য আহরণে যে ট্রলারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো সাধারণ মৎস্যজীবীদের নয়, কিছু ধনী অসাধু ব্যক্তির। সমাজ ও দেশের শত্রু আখ্যায়িত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, পুষ্টিকর ইলিশ মাছের বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এসব অসাধু ব্যক্তিরা।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি নেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করা হবে। অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচালিত অভিযানে অত্যাধুনিক জলযান সংযোজনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। তবে ইলিশ রক্ষায় বিদ্যমান সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা না গেলেও বিদ্যমান জনবল ও নৌযান দিয়ে সমস্যা মোকাবিলার আপাতত চেষ্টা করতে হবে। এর স্থায়ী সমাধানে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য শাক-সবজির পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে। এই মূহুর্তে করোনার ভয়াবহ বৈশ্বিক সমস্যা আমাদের দেশের অভ্যন্তরে মোকাবিলা করতে মাছ, মাংস, দুধ ডিমের উৎপাদন ও বিপণন বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে ইলিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। ইলিশ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্থানে রয়েছি।
নৌপুলিশের অভিযানে গত বছর ২৯ কোটি মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করা একটা বড় সাফল্য উল্লেখ করে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নিয়োজিত নৌপুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
Array