জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতা, পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা হয়েছিলেন। কিন্তু সত্তর-এর নির্বাচন এবং একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালী জাতির পিতা হয়েছেন। তাই জাতির জনক কোন দলের হতে পারেনা।

আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি সোনারগাঁও উপজেলা আয়োজিত উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় সংসদে বক্তৃতায় বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান-কে জাতির জনকের মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের মর্যাদা দেয়ার উদ্যোগে জাতীয় পার্টি সক্রিয় সমর্থন দিয়েছে। জাতীয় পার্টি ভোট দিয়ে সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতার মর্যাদা দিয়েছে। কারণ, আমরা সবাই জাতির জনকের কাছে ঋনী।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি জাতির জনককে স্মরণ করবে, তার মানে জাতীয় পার্টি কিন্তু আওয়ামী লীগ হয়ে যায়নি। জাতীয় পার্টি আলাদা বৈশিষ্ট দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা করছে। আমরা তাতে সমর্থন দিচ্ছি, কিন্তু আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হলে আমরা এককভাবেই এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আমরা দেশ ও মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, জাতির জনক কোন দল, কোন গোষ্ঠী বা কোন প্রতিষ্ঠানের হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির পিতা। তিনি বাঙালী জাতির মহানায়ক। তিনি বলেন, একাত্তরের আট মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর হুকুমে দেশ চলেছে। বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে প্রতিদিন যে ফরমান জারি হয়েছে, তা দেশের প্রশাসন পালন করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্যাংকের সামনে লড়াই করেছে। বঙ্গবন্ধুর এমন নেতৃত্ব বিশে^র ইতিহাসে বিরল ঘটনা। জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, শুধু উন্নয়ন হলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়না। উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত করতে হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত করে ইতিহাস রচনা করেছেন। ৪৬০টি উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি এবং ২১টি মহাকুমাকে ৬৪ জেলায় পরিণত করে পল্লীবন্ধু উন্নয়নের কিংবদন্তি হয়েছে। আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশ থেকে চিরতরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অন্যায়-অবিচার দূর করতেই আমাদের রাজনীতি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য- এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, উপদেষ্টা-মনিরুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম মহাসচিব-ফকরুল আহসান শাহজাদা, মোঃ বেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য-মাসুদুর রহমান মাসুম, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, এ্যাড. মোঃ আবু তৈয়ব, কেন্দ্রীয় সদস্য-সাইফুল ইসলাম সোভন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, আবু সাঈদ স্বপ্ন, মনিরুজ্জামান টিটু, লোকমান হোসেন রাজু, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি-মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন, সহ-সভাপতি শাহরিয়ার রাসেল, জাতীয় পার্টি সোনারগাঁও পৌর সভাপতি এম এ জামান, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আলী হোসেন, শম্ভুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ এবং করোনাযোদ্ধা সানাউল্লাহ সানু।