
ঢাকা, ৮ মার্চ রবিবার ২০২০ইং: আগামী ১৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসময় থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বছর ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।
প্রত্যেক জাতির সামনে একজন আদর্শ নেতার প্রয়োজন। যার কর্মময় জীবন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু সে ধরণেরই একজন মানুষ। তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিকগুলো উপস্থাপন করলে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে চলার অনুপ্রেরণা পাবে এবং তাদের মধ্যে দেশের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কোনো দলের একক সম্পদ নয়। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি জাতির সম্পদ। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী।
বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই যে, ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করেও শুধু দেশপ্রেম, ত্যাগ, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলমত নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে সমগ্র বাঙালী জাতি সকল ভেদাভেদ ভুলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে তাঁর প্রতিটি নির্দেশ-আদেশ বিনা দ্বিধায় প্রতিপালন করে গেছে। ফলশ্রæতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়েছে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এধরণের নেতৃত্ব কখনই কেউ দিতে সক্ষম হন নাই।
তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন বাঙালী জাতির জন্য একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। এ অর্জনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের জনগণ ও সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। এক কোটি শরণার্থিকে আশ্রয় দিয়েছে, নিরাপত্তা দিয়েছে, আহার-বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও সামরিক সরঞ্জামাদী দিয়ে সহায়তা করেছে।
আজ আমাদের মহান নেতার জন্মবার্ষিকীতে আমাদের দেশ ও জাতির ভারতীয় জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানানো অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি ও তাঁর সকল সফরসঙ্গীকে আমরা বাংলাদেশে স্বাগতম জানাচ্ছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে তাঁর আগমণে আমরা আনন্দিত।
তাঁর এই সফর বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুমুধুর ও বেগবান করতে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার অনিষ্পত্তিকৃত বিষয়গুলিও তড়িৎ সমাধান সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
Array