
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টিই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিকল্প শক্তি। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জামিনে আছেন, নেতৃত্ব সংকট আছে দলটিতে। রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতেই পারছে না বিএনপি। আবার আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। তাই নতুন প্রজন্মের সামনে জাতীয় পার্টিই হচ্ছে রাজনীতির একমাত্র প্লাটফর্ম।
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই জাতীয় পার্টিকে জবাই করতে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি টিকে আছে, সারা দেশেই জাতীয় পার্টির সমর্থক আছে। আগামী দিনে জাতীয় পার্টিই দেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিবেচনায় জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশে সুশাসন বিদ্যমান ছিলো। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে।
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বিএনপির রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই তাদের সংগঠন আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি সারাদেশে ছড়িয়ে আছে। দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর শাসনামল ফিরে পেতে চায়।
তিনি বলেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি রাজনীতির নিয়ন্ত্রক শক্তিতে পরিণত হবে। তাই দলকে আরো শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফকরুল ইমাম এমপি’র সভাপতিত্বে ও ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ-এর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. কে.আর. ইসলাম, এডভোকেট মো. লিয়াকত আলী খান, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে।
উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, আনেয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক-২ এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদেক বাদল, যুগ্ম দফতর মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিকসহ অনেকে।