
স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর যেসব নেতা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবাইকে নিজেদের লোক দাবি করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটে জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই ।
শনিবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে চিঠি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নিবন্ধন হারানোর জামায়াতের মোট ২৫ জন নেতা এবার প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে ২১ জনকে বিএনপি ধানের শীষ দিয়েছে। একজন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়ে সমর্থন পেয়েছেন বিএনপির। বাকি তিন জন আছেন স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে, যাদেরকে সমর্থন দেয়নি বিএনপি।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত নেতাদের ধানের শীষে ভোট করা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন তরীকত ফেডারেশনের এক নেতা। আর হাইকোর্ট তিন কার্যদিসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার শেষ হচ্ছে এই সময়সীমা।
এরই মধ্যে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। তার পরদিনই নজরুল চিঠি নিয়ে যান কমিশনে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী নাই। তারা শুধু ধানের শীষের প্রতীক নয়, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন তারা। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেওয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি, বিএনপি মনোনীত করেছে।’
জামায়াত নেতাদের পদ-পদবী তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওয়েবসাইটে পদপদবি থাকুক। আপনি যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি না সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়।’
‘এটা যদি অবৈধ হত তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেওয়া বেআইনি হতো। যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করল?’- প্রশ্ন রাখেন নজরুল।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষে প্রকাশ হয় সেই রায়। এরপর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে।
‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে দিচ্ছে না সরকার’
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে একদল পর্যবেক্ষককে সরকার ভিসা দেয়নি জানিয়ে নজরুল বলেন, ‘পর্যবেক্ষকদের দেশে আসতে বাধা দিচ্ছে সরকার। তাদের ভিসা না দিলে তারা কীভাবে আসবেন?’
‘কারণ, সরকার নির্বাচনের নামে যে কাজটি করতে চাচ্ছে সেটি হলো চুরিচামারি। তাদের কাজে বাধা হতে পারে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। একারণেই তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে দিচ্ছে চাচ্ছে না।’