
বছরের পর বছর, বাবার হত্যার বিচার, বাস্তবায়ন না হওয়ায়, এ নিয়ে আর কথা বলেন না, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে বর্তমান সরকারের সময়েই খুনিদের বিচার দেখতে চান শহীদ এই পরিবারের নতুন প্রজন্ম। দিনটি স্মরণে রাজশাহীতে দিনভর নেয়া হয়েছে নানা আয়োজন।
পয়লা নভেম্বর থেকেই জেল হত্যা দিবসের আয়োজন শুরু হয় রাজশাহীতে। নগর জুড়ে কালোপতাকা দিয়ে শহীদ কামারুজ্জামানকে উজ্জীবিত করা হয় সকলের হৃদয়ে। ৩ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় জেল হত্যা দিবসের কার্যক্রম। এছাড়াও থাকে দিনভব নানা আয়োজন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানকে হত্যার দুইদিন পর হেলিকপ্টারে করে লাশ আনা হয় রাজশাহীতে। অল্প কয়েজনের উপস্থিতিতে তাঁকে দাফন করা হয় কাদিরগঞ্জের পারিবারিক গোরস্থানে। এরপর ৪০ দিন নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় পরিবারের সদস্যদের। শহীদের চাচাতো ভাই তাঁকে স্মরণ করলেন এইভাবেই। পিতার হত্যার বিচার বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত কয়েক বছরে এ নিয়ে কথা বলেন না শহীদের সন্তান ও সিটি মেয়ার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে খায়রুজ্জামানের মেয়ে বললেন, এখনও নভেম্বর আসলেই পিতার শোকে তার বাবার আচরণটাও খানিকটা বদলে যায়।
মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলেও পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা সম্ভভ হয়নি।