
অনেক অনিবন্ধিত দল জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চায়। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) জানিয়েছেন নিবন্ধন নেই এমন দলের সদস্যরা যেকোনো নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হতে পারবেন। তবে রবিবারের মধ্যে দলগুলোকে জোটের তথ্য দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
শুক্রবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধিত দল চাইলে অনিবন্ধিত দলের সদস্যদের তাদের প্রতীকে প্রার্থিতা দিতে পারবে। অনিবন্ধিতদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আইন নেই বলে জানান তিনি।
এর ফলে সম্প্রতি নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, দলটির সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে চাইলে সেটা বন্ধ করার কোনো উপায় আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এমন কোনো আইন নেই। এই অবস্থায় জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বিষয়ে সচিব বলেন, রবিবার থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
শোডাউন করা যাবে না
প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী মিছিল, মশাল মিছিল বা শোডাউন করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়েছি।
ইসি সচিব বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে যারা পোস্টার, তোরণ, গেটসহ নানা ধরনের প্রচার চালিয়েছে, নিজ উদ্যোগে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে আমরা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারদেরও নির্দেশনা দিয়েছি।
ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটার প্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীরা ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না।
তফসিল ঘোষণার দিন (৮ নভেম্বর) এই নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য ৬৬ জনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসি। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৭৯ জনকে।
২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৮ নভেম্বর এই নিয়োগ দেয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের। সবচেয়ে বেশি ১৫টি আসন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে। জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বেশি আসন নিয়ন্ত্রণ করবেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। তারা ১১টি করে আসন নিয়ন্ত্রণ করবেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে ৫৭৯ জনকে। সবচেয়ে বেশি (১০ জন) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাঙামাটিতে। এরপর খাগড়াছড়িতে ৯, বান্দরবানে ৭ ও কুমিল্লা-৬ আসনে চারজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
Array