
জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উৎপাদক দেশগুলো। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ এ জন্য একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশগুলো তেল উৎপাদন এক-পঞ্চমাংশের বেশি কমিয়ে আনার কথা বলেছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দাম বাড়ানোর এ তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তেলের দাম বাড়াতে সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট।
তবে ওপেক প্লাস নামে পরিচিত গোষ্ঠীটি মনে করছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনেকখানি নির্ভর করছে মেক্সিকোর ওপরে। এই দেশটিকে উৎপাদন কমাতে ইতোমধ্যে আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হবে ১ কোটি ব্যারেল, যা মোট বৈশ্বি উৎপাদনের ১০ শতাংশ। এর সঙ্গে ওপেক প্লাস জোটের বাইরে থাকার দেশগুলোকে আরও ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া আহ্বান জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী দৈনিক ৩ কোটি ব্যারেল তেলের চাহিদা কমে গেছে, যা মোট বৈশ্বিক সরবরাহের ৩০ শতাংশ। এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দিনে দেড় কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন কমিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেলের দাম বাড়তে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরব যদি উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে তেলের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া না শুরু করে তাহলে দেশটির তেল বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
মূলত ট্রাম্পের এসব হুমকি-ধমকির পরই রাশিয়ার সঙ্গে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে নেয় সৌদি আরব।
Array