
দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকার চালান আসা এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ সরকারের হাতে থাকা টিকার মজুদ কমে আসছে। ৭ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবার কথা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের মজুদ থেকে প্রথম ডোজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এবং কেনা টিকাসহ দেশে ৯০ লাখ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত সারা দেশে টিকা দেয়া হয়েছে ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৭ জনকে।
আবার আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কিছু টিকার মেয়াদ শেষ হবে। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্ৰহ এবং মেয়াদ শেষ হবার বরগুনা জেলার ৩টি উপজেলা থেকে প্রায় ৩ হাজার ডোজ টিকা ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোভ্যাক্স থেকেও কবে নাগাদ টিকা আসবে সেই বিষয়টি নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। এসব বিষয় নিয়ে টিকা প্রাপ্তি ও টিকার দ্বিতীয় ডোজ চালুর বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
২০২০ সালের ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে টিকা আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেশে আসে ২০ লাখ ডোজ টিকা। ২৫ জানুয়ারি কেনা টিকার প্রথম চালান আসে। ওই সময় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতি চালানে ৫০ লাখ খোঁজ টিকা আসার কথা থাকলেও ওই দিন ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে।
যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সব সময়ই বলেছেন, টিকার সংকট হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে টিকা উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দেশের সাথে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আর সেরামের সাথে চুক্তির বাকি টিকা যতটা সম্ভব দ্রুত সময়ে আনতে যোগাযোগ চলছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান জানান, টিকার পরবর্তী চালান কবে আসবে তা এখনো নিশ্চিত করে জানেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেক্সিমকো ফার্মার এক কর্মকর্তা বলেন, টিকা আনা বিষয়ে সেরামের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তবে পরবর্তী তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
Array