• ঢাকা, বাংলাদেশ

ডাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি প্যানেলের ভোটবর্জন 

 admin 
11th Mar 2019 2:30 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে পুন:তফসিলের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি প্যানেল।

সবশেষ ছাত্রদল এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এর আগে বেলা একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সম্মিলিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র মুক্তি জোট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ।

প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী তার ওপর হামলার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন এবং পুনরায় ভোটের দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে তিনি ভোট পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন ছাত্র লীগের কয়েকজন কর্মী তাকে ধাওয়া দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এরআগে স্বতন্ত্র জোট তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে ভোর্ট বর্জনের ঘোষণা দেয়।

সেখানে তারা জানান, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এবং অরণি সেমন্তি খান ও শ্রবণা শফিক দীপ্তিকে শারীরিকভাবে আক্রমন করায় স্বতন্ত্র জোট ডাকসু ২০১৯ বর্জন করছে।”

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি পদপ্রার্থী নুরুল হক নুরুর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন লিটন নন্দী।

এই হামলা ও অনিয়মের জেরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ভোট বর্জন করে।

মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নির্বাচনের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছাত্রলীগের বিজয় নিশ্চিত জেনে তাদের নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

এদিকে ভোট বর্জন করা দলের কর্মী সমর্থকরা উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। সেখানে তারা আগামিকালের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ:

সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী আবাসিক হলে সিল মারা ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে হলের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

পরে শিক্ষার্থী ও হল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা প্রেক্ষিতে বেলা সোয়া এগারোটার দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

উদ্ধার হওয়া ব্যালটগুলোয় ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের নামের পাশে সিল দেয়া ছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এ সময় তারা হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট ড. শবনম জাহানকে পদত্যাগের দাবি তোলেন।

শিক্ষার্থীদের এমন দাবির মুখে ড. শবনম জাহানকে অব্যাহতি দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন।

এর আগে, বিক্ষোভের মুখে হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।

পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অধ্যাপক সামাদকে প্রধান করে একটি চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১