আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী অফিস মিলনায়তনে নবগঠিত সাংস্কৃতিক পার্টির পরিচিতি অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম কাদের এ কথা বলেন।
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর উপদেষ্টা শেরিফা কাদের-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, দেশে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট। রাজপথে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু যেন নিত্য-নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সর্বস্তরে জবাবদিহিতার অভাবে সুশাসনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। বলেন, আমরা দেশ থেকে খুন, ধর্ষণ, অবিচার-অনাচার এর অবাসান চাই।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বিশে^র সকল বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও সামাজিক বিবর্তনে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, একটি দীর্ঘ বক্তৃতা মানুষকে যতটা উদ্বুদ্ধ করতে পারে, তার চেয়ে একটি গান বা একটি কবিতা স্বল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে বেশি উদ্বুদ্ধ করতে পারে এবং তা হয় অনেক বেশি স্থায়ী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আদর্শকে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প হয় না। তাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ফরাসী বিপ্লব, চাইনিজ বিপ্লব, রুশ বিপ্লব, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। একই ধারাবাহিকতায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়নে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টিকে আরো শক্তিশালীভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ শুধু উন্নয়ন চায় না, মানুষ উন্নয়নের সাথে সুশাসন চায়। দেশের ইতিহাসে একমাত্র পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়নের সাথে সুশাসন দিতে পেরেছেন। তাই দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনে পল্লীবন্ধুর জাতীয় পার্টি ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক শেরিফা কাদের-এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান- এ্যাড সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য- এস এম ফয়সাল চিসতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার এমপি, আলমগীর শিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য- মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ড. মোঃ নুরুল আজাহার শামীম, সামসুল আলম মাষ্টার। ভাইস চেয়ারম্যান -মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নিগার রাণী সুলতান, মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিউল্লাহ শফিক, নুরুন নাহার বেগম, হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।
যুগ্ম-মহাসচিব- এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাসানী, ফকরুল আহসান শাহাজাদা, মোঃ বেলাল হোসেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, হুমায়ুন খান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাজী আব্দুল খায়ের, মিজানুর রহমার। দপ্তর সম্পাদক- সুলতান মাহামুদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক- জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- এম এ রাজ্জাক খান, ক্রীড়া সম্পাদক- আহাদ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ- এ্যাড. আবু তৈয়ব, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক- মাহামুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম -সমাজ কল্যাণ সম্পাদক-ডাঃ সেলিমা খান, যুগ্ম-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- সাজ্জাদ পারভেজ, যুগ্ম-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক- শেখ মোঃ শান্ত, যুগ্ম-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- ডাঃ আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ. যুগ্ম-প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক- নাজিম উদ্দিন ভুঁইয়া, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ হেলাল উদ্দিন, নুরুল হক নুরু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য- সোলায়মান সামি, বাসেদ আলী টিপু, মোতাহার হোসেন চৌধুরী, জেসমিন নুর প্রিয়াংকা, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মোঃ আলমগীর, ওয়াহিদুর রহমান ওহিদ। জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি- মোঃ ইব্রাহীম খান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক- মোঃ আল মামুন, সহ-সভাপতি-মারুফ ইসলাম মারুফ, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন গাজি বিপ্লব।