
ঢাকা, রবিবার, ০১ নভেম্বর – ২০২০: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া উচিত। যারা স্কুল-কলেজে যেতে চায় তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যারা প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে চায় তাদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে। তিনি বলেন, কিন্তু যারা এমন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজে যেতে চায়না তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা। আবার যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে অনিচ্ছুক তাদের জন্য অটো-পাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বলেন, যখন হাট-বাজার, অফিস-আদালত এবং গণপরিবহণ সহ সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে, তখন শুধু শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখার কোন যুক্তি নেই। এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। জটিলতা সৃষ্টি হবে শিক্ষা ব্যবস্থায়।
আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে র্যালীর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বক্তৃতা করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ১৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই একটি দেশের স্বাবলম্বিতা ও স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হয়। আমাদের জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষই ১৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তিনি বলেন, দেশে ৫ কোটির ওপরে বেকার। তাই বেকারত্ব দূর করতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান উল্লেখ করে বলেন, সরকারীভাবে বেকারত্ব কমাতে কৃষি ভিত্তিক কিছু কর্মকান্ড গ্রহণ করা হয়, এতে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কিন্তু কোটি কোটি বেকারের জন্য কাজের নিশ্চয়তা নেই। বলেন, মেগা প্রজেক্টে বিভিন্ন স্তরে হাজারো কর্মী কাজ করে এতে দেশের শ্রমিকের সংখ্যা কম। তাই মেগা প্রকল্পগুলোতে দেশীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকারে প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, যুব সমাজ দেশের উন্নয়ণ ও স্বাবলম্বিতায় কাজ করতে প্রস্তুত। তাদের জন্য কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে সরকারকে পরিকল্পিত ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের যুব সমাজই আমাদের প্রাণশক্তি। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুব সমাজ যেভাবে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে, ঠিক তেমনি ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যুব সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে দেশ থেকে খুণ, ধর্ষণ, অবিচার ও অন্যায় দূর করতে। সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে দেশকে বাঁচিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে যব সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দলবাজ, এবং সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গঠনে জাতীয় যুব সংহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন এর সভাপতিত্বে এবং পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম-মহাসচিব আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, হেলাল উদ্দিন, মাহমুদা রহমান মুন্নি, এনাম জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- সুলতান মাহমুদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভুইয়া, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, মোঃ মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, যুগ্ম-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- মাহমুদ আলম, এ্যাড. মোঃ আবু তৈয়ব, মোঃ শহিদ হোসেন সেন্টু, মোঃ দ্বীন ইসলাম শেখ, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, কেন্দ্রীয় সদস্য- শামছুল হুদা মিঞা, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী, মোঃ সোলায়মান সামি, শেখ সারোওয়ার, মোস্তাইন বিল্লাহ প্রমুখ।
Array