
ঢাকা, বুধবার ১৭ জুলাই ২০১৯ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সকল ধর্ম ও জাতির মানুষের কল্যাণে অবদান রেখেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলো পল্লীবন্ধুর সকল কর্মকান্ড। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৪টি জানাজায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিলোনা। লাখো মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে পল্লীবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা। তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য দোয়া করার জন্য দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানীতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এ কথা বলেন।
এসময় সত্তর দশকের কিংবদন্তী ছাত্র নেতা নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, দেশ ও মানুষের প্রতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মমত্ববোধ অতুলনীয়। আমি তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ ও বিমোহিত হয়েছি। একজন সাহিত্যিক হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অসাধারণ। তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রাজনীতিতে মত ও পথের অমিল ছিলো। কিন্তু আমি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শ্রদ্ধা করতাম। বলেন, তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। তিনি আরো বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন বিনয়ী মানুষ ছিলেন, মার্জিত স্বভাবের অধিকারী ছিলেন তিনি। তিনিও পল্লীবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
কুলখানী ও দোয়ায় অংশ গ্রহন করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবুল, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, হাবিবুর রহমান, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মোঃ আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, মেজর মোঃ খালেদ আখতার (অব.), লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মোঃ মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখত, কাজী মামুনুর রশীদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমরান হোসেন মিয়া, সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, আদেলুর রহমান, রাহাগির আল মাহি (সাদ এরশাদ) ও এরিক এরশাদ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম এমপি, সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তফা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নাসিম উদ্দিন আল আজাদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ডা. নাজিম উদ্দিন, জেপি সাধারণ সম্পাদক- শেখ শহিদুল ইসলাম।
Array