
কেমিক্যাল আমদানি বাড়ছে। গত দেড় দশকে কেমিক্যাল পণ্য আমদানি ৫ গুণেরও বেশি বেড়েছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম ছয় মাসে ১২৬ কোটি মার্কিন ডলারের কেমিক্যাল পণ্য আমদানি হয়েছে।
দেশে কেমিক্যাল পণ্য হিসেবে অর্গানিক কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার্টিলাইজার, ডায়িং প্রভৃতি আমদানি হয়। এসব কেমিক্যাল চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প, টেক্সটাইল, রঙ, কসমেটিক্স, ওষুধ, সার কারখানা প্রভৃতিতে ব্যবহূত হয়। যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেসব পণ্যের মধ্যে অনেক পণ্যে এসব কেমিক্যাল ব্যবহূত হয়।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মেজবাহ বলেন, আমাদের সমিতির সদস্যরা যেসব কেমিক্যাল আমদানি করে তার বেশিরভাগই ট্যানারি শিল্পে ব্যবহূত হয়। তিনি বলেন, এফবিসিসিআইয়ের দেওয়া নিয়মকানুন মেনে সকল ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। সমিতির সদস্যরা যেসব কেমিক্যাল আমদানি করে তা উচ্চ দাহ্য পদার্থ নয়। এসব কেমিক্যাল রপ্তানি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের তৈরিতে ব্যবহূত হয়। সাধারণত চীন, ইতালী থেকে কেমিক্যাল আমদানি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। কেমিক্যাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানান, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় ব্যবহূত কেমিক্যালের বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়।
চকবাজার ট্র্যাজেডির পর কেমিক্যালের বিষয়টি সামনে এসেছে। ২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলো কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ফাইলবন্দি হয়ে আছে। কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল পল্লী হওয়ার কথা।
দেশে আমদানি হওয়া কেমিক্যালের গুদামগুলো এখানো পুরনো ঢাকায় অবস্থিত। আর সেখানে কেমিক্যাল গুদামের আশেপাশেই মানুষের বসবাস। ফলে বিপজ্জনক এ পদার্থ থেকে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও এখন পর্যন্ত গুদামগুলো সরানোর উদ্যোগ নেই।
Array