
নভেল করোনাভাইরাসের সংকটে টিকে থাকতে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ চায় দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এক মাসের বেশি সময় ফ্লাইট বন্ধ থাকায় উড়োজাহাজ লিজের টাকা শোধ, রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মীদের বেতনের জন্য সোনালী ব্যংকে দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ চেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে ছাড় করেছে ব্যাংকটি। সরকার ও বিমান সংস্থাগুলোর মূলধনের ৩০ শতাংশ ঋণ ঘোষণা করলেও একে অপ্রতুল বলছে এয়ারলাইন্সগুলো।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে মার্চ মাসের শেষে সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সংকট মোকাবিলায় ৪ শতাংশ সুদে, মূলধনের ৩০ শতাংশ ঋণ সুবিধা ঘোষণা করে সরকার। তবে একে যথেষ্ট বলছে না বিমান সংস্থাগুলো।
আয়ের পথ বন্ধ থাকায় উড়োজাহাজ লিজের টাকা শোধ আর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ চালাতেই হিমসিম খাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আর এ অবস্থায় ১৫ মে পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনা না করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনা পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের সব ধরনের চার্জ ও কর মওকুফের পাশাপাশি জেট ফুয়েলের দাম সম্বন্বয়ের দাবি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর। তাই এয়ারলাইন্সগুলোর দাবি বিবেচনার আশ্বাস বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের।
করোনাভাইরাস বিস্তারের পর বিশ্বজুরে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে এভিয়েশন ও পর্যটন খাত। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা চাকরি হারাতে পারেন এ খাতের প্রায় ৩০ লাখ কর্মী।
Array