
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ট্রেন কড়া নিরাপত্তায় উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছে। গত এক দশকের বেশি সময় পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল করল। খবর বিবিসির।
ট্রেনে দক্ষিণ কোরিয়ার একদল প্রকৌশলী বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যারা উত্তর কোরিয়ার রেল যোগাযোগ শক্তিশালী করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সহযোগিতা করবেন।
গত বছর থেকে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে ধীরে ধীরে ভ্রমণ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
গত এপ্রিলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ায় ঐতিহাসিক সফরে যান। সেখানে কিম উত্তর কোরিয়ার রেল ব্যবস্থাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে এর অবকাঠামো উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চান।
উত্তর কোরিয়ার কিছু রেল অবকাঠামো বিশ শতকের তৈরি। আর তা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযোগ করতে চাইলে পুরো অবকাঠামো বদলাতে হবে।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রকৌশলীরা রাজধানী সিউলের উত্তরে দোরাসান স্টেশন থেকে ট্রেন উঠেন। খুব অল্প সময়ে তারা উত্তর কোরিয়ার ডিমিলিটাইরাইজড জোনে পৌঁছান। ১৯৫০ সালে যুদ্ধের পর এই এলাকাটি দুই কোরিয়াকে বিভক্ত করেছে।
ভারি অস্ত্রে সজ্জিত সীমান্ত এলাকায় যাওয়ার আগেই পুরো ট্রেন জুড়ে ব্যানার টানানো ছিল। সীমান্তের এই এলাকাটি ‘আয়রন হর্স’ নামে পরিচিত। শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই পদক্ষেপকে।
ট্রেনটি উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন পানমুন স্টেশনে পৌঁছার পর উত্তর কোরিয়ার ট্রেনের ইঞ্জিন যুক্ত করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তারা। ১২০০ কিলোমিটার রেলপথ ও অবকাঠামো পরিদর্শন করতে ২৮ জন বিশেষজ্ঞের দলটি ১৮ দিন ট্রেনে থাকবেন।
Array