
ঢাকার ধামরাইয়ে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কে যাত্রীবাহী একটি বাসের ভেতরে মমতা আক্তার (১৯) নামে সিরামিকস কারখানার এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি জঙ্গল থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মমতা আক্তার (১৯) উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান মিন্টুর মেয়ে। তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডাউটিয়া এলাকায় অবস্থিত প্রতীক সিরামিকস কারখানায় কাজ করতেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেল (৩০) রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানা এলাকার। সে ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে শশুরবাড়িতে থেকে বাসচালকের কাজ করত।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং পড়নের কামিজ ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিহত মমতার মা জুলেখা বেগম মেয়েকে কারখানায় কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ির পাশ থেকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন। কিন্ত সন্ধ্যার পরও তার মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর রাতেই ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তারসহ বাসটি জব্দ করা হয়। এসময় বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে ওই শ্রমিককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে কি না বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Array