
নির্বাচনে বাংলাদেশের ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে কানাডা। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনো প্রিফনটাইন এক বিবৃতিতে বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা গণতন্ত্রের ভিত্তি। সহিংসতা ও দমনপীড়ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বৈধতাকে দুর্বল করে দেয়। সব পক্ষকে নির্বাচনী প্রচারণা, শান্তি ও দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। সংখ্যালঘু ও নাজুক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অধিকার এবং নাগরিক সমাজের অবাধ তৎপরতার সুযোগ সমুন্নত রাখতে হবে।
বাংলাদেশে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে জাতিসংঘ। সরকার যথা সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’কে (আনফ্রেল) ভিসা না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের জনগনের ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে কানাডা।
মূলত নির্বচন ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশন ও অস্ট্রিয়া। পাশাপাশি ভ্রমনে সতর্কতা জারি করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। রাজনীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ বৃটেন কানাডা নরওয়ে এবং জাপান। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাস নিয়মিত তাদের ফেসবুক পেইজে আপডেট তথ্য শেয়ার করছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস তাদের নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে প্রতিনিয়ত সতর্ক করে চলেছে। জাপানী ভাষায় জারি করা দূতাবাসের দীর্ঘ সতর্ক বার্তায় বাংলাদেশে জাপানী নাগরিকদের এই মূহুর্তে ‘অপ্রয়োজনীয়’ সফর না করতে বলা হয়েছে। তবে যারা এরইমধ্যে ঢাকায় এসেছেন তাদের জনসমাগমের স্থান বিশেষত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্থানগুলো অবশ্য এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ানদের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের সতর্ক বার্তায়। এতে বলা হয়, দুই সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পানি এবং জ্বালানি জমা করে রাখুন। ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। জামা-কাপড়, ওষুধ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সংবলিত একটি ছোট্ট ব্যাগ প্রস্তুত রাখুন। টেলিফোন, মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো চালু রাখুন। নিজস্ব বাহন, ড্রইভার সহ প্রস্তুত থাকতে হবে। একই সঙ্গে হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নগদ অর্থ রাখুন। জনসমাগম স্থান এড়িয়ে চলুন।
জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, নৈতিকতার বিষয়ে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, যখন যেখানেই নির্বাচন হোক, তা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। মানুষকে তার মত প্রকাশ করার সুযোগ দিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী সভা-সমাবেশে বাধাবিঘ্নসহ মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করেছে বৃটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থাকা দেশটির নাগরিকদের চলতি মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা সতর্ক করেছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভিসা না দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সবদলের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও সরকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি সমুন্নিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো বলেন, আমরা রাজনৈতিক বিভাজন, সহিংসতা ও অস্থিরতা চাই না। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ স্বাধীন ও সুষ্ঠু ও নির্বাচন চাই। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য অবশ্যই শান্তিপূর্ন সমাবেশ ও অভিব্যাক্তি প্রকাশের সুযোগসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
নির্বাচনে বাংলাদেশের ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে কানাডা। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনো প্রিফনটাইন এক বিবৃতিতে বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা গণতন্ত্রের ভিত্তি। সহিংসতা ও দমনপীড়ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বৈধতাকে দুর্বল করে দেয়। সব পক্ষকে নির্বাচনী প্রচারণা, শান্তি ও দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। সংখ্যালঘু ও নাজুক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অধিকার এবং নাগরিক সমাজের অবাধ তৎপরতার সুযোগ সমুন্নত রাখতে হবে।
Array